গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের ভ্রহ্মপুত্র নদের শাখা মৃগী নদীর পানির তীব্র ¯্রােতে ভাঙন শুরু হয়েছে। মৃগী নদীর ভাঙনে নকলার বাছুর আলগা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের বাড়ির বসতভিটাসহ মাহবুব হাজী ও জামাল চৌকিদারের ১০ শতক আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। নদী ভাঙনে ওই এলাকার আরও দুইটি বসতভিটার বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। চিকারবাড়ী ঘাট সংলগ্ন ২০ ফুট পাকা রাস্তার নিচের মাটি সরে যাওয়ায় এলাকাবাসী ওই সড়কে ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ মৃগী নদীতে অবৈধভাবে বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রচুর পরিমাণ বালু উত্তোলন করায় নদীটি অধিক গর্ত হয়ে য়ায়। এদিকে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদীর পানির তীব্র ¯্রােতে উত্তরপাড়ে চকবড়ইগাছী ও বাছুর আলগা এলাকায় এ ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার গণপদ্দী, নকলা, উরফা ও গৌড়দ্বার ইউনিয়নে অনেক ফসলী জমি ও আমন চারা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জানান, ভারী বর্ষণে নদীতে পানির তীব্র ¯্রােতের কারণে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনের হাত থেকে সতর্ক থাকার জন্য এলাকাবাসীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভাঙনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম জানান, রবিবার সকাল থেকে নদী ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে।