শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা খাদ্য গোডাউনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কৃষকের ধান উঠানো নিয়ে খাদ্য কর্মকর্তাদের নানান হিসাব নিকাশ, ভিআইপি, সিআইপির ধান উঠে যায় তাড়াতাড়ি কিন্তু কৃষকের ধান উঠে পরে কৃষকের এরকম নানান অভিযোগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফ ইকবাল পরিদর্শনে যান খাদ্য গোডাউনে। খাদ্য গোডাউনে ধান উঠানো নিয়ে উভয় অফিসের কর্মকর্তাদের বাক বিতন্ডতায় বেধে যায় তর্কাতর্কি, হট্রগোল। তুগলকি এমন কান্ডে পরে স্থানীয় কৃষক ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
এলাকাবাসী, কৃষক, কৃষি ও খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষকের নানা অভিযোগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফ ইকবাল খাদ্য গোডাউনে পরিদর্শনে যান। এ সময় গোডাউনে ধান পরিক্ষা নিরক্ষিা করে দেখেন এবং কৃষকেরদের ধান সংরক্ষন ও ধান নিয়ে আসার বিষয়ে পরার্মশ প্রদান করা হয়। এ সময় নানা প্রশ্ন আর তর্কাতর্কিতে কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে বাক বিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়েন এবং ক্ষুব্ধ হন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (খাদ্য গোডাউন) আবু সম্্রাট খান। এ সময় কৃষি অফিসের কর্মকর্তাগন দায়িত্বের সহিত যথাযথ কর্তব্য পালনের আলোচনা উঠালে তিনি আরো ক্ষেপে যান। এ সময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফারুকের সাথেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
উল্লেখ্য, নাম প্রকাশ না করার শর্তে কৃষকরা জানায়, প্রতি কৃষক এক কার্ডে ১টন ধান দিবে প্রতি মন ৪০ কেজি বস্তায় করে। এটি না হয়ে প্রতি মন ধানের সাথে আরো ৩ কেজি বেশি ধান নেওয়া হচ্ছে। ধান আসছে ট্রলিতে করে। যেটি মাইকিং করে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এছাড়াও দালাল শ্রেনীর লোকের কারণে কৃষকরা হয়রানী বলে জানা গেছে।
এদিকে রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের কৃষক আক্রাম আলী বলেন, আমিসহ আরো দুই কৃষকের ধান এক সাথে করে সোমবার থেকে ধান নিয়ে এখানে আছি। আমার টা কোন ভাবেই উঠছে না। নালিতাবাড়ী পৌরসভার গোবিন্দনগর গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, গত দুই দিন ধরে ধান নিয়ে আসছি আমি একজন সাধারন কৃষক আমার ধান উঠে না। বড় বড় লোকের ধান উঠে যায়। দীর্ঘক্ষন থেকে অসহ্য হয়ে উঠেছি। নালিতাবাড়ী পৌরসভার কৃষক আজাহার আলী বলেন, আমার ধানের সাথে বাড়তি আরো ৩কেজি করে বেশি ধান বেশি নিচ্ছে। এত কষ্ট করে যদি বাড়তি ধান দিতে হয় তাহলে কেমনে। ২নং ওয়ার্ডের কৃষক আঃ মান্নান বলেন, এত কষ্ট করে কাগজ তৈরি করে ১টন ধান কষ্ট করে সেই সকাল নিয়ে আসছি এখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধা অথচ আমার ধান তারা নিচ্ছে না।
এদিকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আঃ কাদের (বাড়ী ময়মমনসিংহ) থেকে বিকেল ৩টায় নালিতাবাড়ী খাদ্য গোডাউনে উপস্থিত হওয়ার সময় দেখা হলে তিনি বলেন, আমি মাত্রই আসলাম। ঘটনাটি শুনেছি।
এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফ ইকবাল বলেন প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, আমরা পরিদর্শনে আসলেই যদি আপনি বিরক্ত বোধ করেন তাহলে এটা কেমন। কৃষকের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। কৃষকের ধান উঠাতে কৃষক যাতে কোন ভাবেই হয়রানীর শিকার না হয় সেই ব্যাপারে যথাযথ খেয়াল রাখতে হবে। কৃষকের জন্যই এই কার্যক্রম। এদের কোন ভাবেই হররানী করা যাবে না।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নালিতাবাড়ী খাদ্য গোডাউন, মোঃ সম্্রাট খান বলেন, ওঁরা এত লোক আসছেন দেখেই কি হয়েছে। আমাদের সাথে না বসে সরাসরি তারা কৃষকের সাথে কথা বলে ধান দেখতে যায়।