শেরপুরের ঝিনাইগাতীর বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এটিএম জিয়াউল ইসলাম উপজেলার ঝিনাইগাতী সদর ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেন। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও পানিবন্দি ১ হাজার পরিবারের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেদুল হাসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন, মালিঝিকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা প্রমুখ। এটিএম জিয়াউল ইসলাম বলেন, পানি নেমে যাচ্ছে, আশা করছি বৃষ্টি না হলে দুই-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এদিেেক সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ঝিনাইগাতীর বন্যাদুর্গত এলাকায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ত্রানের মধ্যে ছিল মুড়ি, গুড়, চিড়া, খাবার স্যালাইন, বিস্কুট, মোমবাতি, দিয়াশলাই ও পানি শোধন ট্যাবলেট।
পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, বর্তমান জনবান্ধব পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল রাখার পাশাপাশি অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আমরা বন্যার্ত মানুষের পাশে সামান্য ত্রান নিয়ে এসেছি। তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ পৌছে দিচ্ছি।
উল্লেখ্য, ঝিনাইগাতী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে ঝিনাইগাতী সদর, ধানশাইল, মালিঝিকান্দা ও হাতিবান্ধা ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রামের ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বিশেষ করে গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন গৃহস্তরা।
এসব এলাকার রোপা আমন ধানের বীজতলা ও সবজি পানিতে নিমজ্জিত এবং কাঁচা ঘর, সেতু ও গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে শতাকি পুকুরের মাছ। বাড়িতে পানি উঠায় চুলা জ¦ালাতে পারছেন না প্লাবিত এলাকার মানুষ। শুকনো খাবার খেয়েই দিন পার করছেন তারা।