বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া বিভাগীয় বেবী হোমে আশ্রিত পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন কন্যা ফাতেমার দত্তক নিয়েছেন নিঃসন্তান এক প্রভাষক দম্পত্তি।
আদালতের কাছে সন্তান দত্তক নেয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার বরিশাল শিশু আদালতের বিচারক মোঃ আবু শামীম আজাদ এক লাখ টাকা বন্ডে শিশু কন্যা ফাতেমাকে ঝালকাঠির বাসিন্দা প্রভাষক মু নুরনবী সিদ্দিকী ও রেহানা আক্তার দম্পত্তির কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে বেবী হোমের উপ-তত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ সাড়ে ছয়মাস বয়সী শিশু কন্যা ফাতেমাকে মু. নুরনবী সিদ্দিকী ও রেহানা আক্তার দম্পত্তির কাছে হস্তান্তরের করেন। এসময় জেলা প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ উপস্থিত ছিলেন। শিশু ফাতেমাকে একজন কোরানে হাফেজা বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন দত্তক নেয়া নিঃসন্তান এ দম্পত্তি।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলা সদরের কমলাপুর এলাকায় প্রসব বেদনায় ছটফট করা মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃস্বত্তা নারীকে সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। ওইদিন সন্ধ্যায় কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই প্রসূতি। এরপর নিজের মায়ের নামেই শিশুটির নাম ফাতেমা রহমান রাখেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। পরে হাসপাতালে থেকে ২৭ জানুয়ারি শিশুটিকে পটুয়াখালী সমাজসেবা অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করেন।
পরবর্তীতে পটুয়াখালী জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে শিশু ফাতেমার ঠাই হয় আগৈলঝাড়ার বিভাগীয় বেবী হোমে। সেই থেকে ফাতেমা বেবী হোমেই বড় হতে থাকে। প্রভাষক দম্পত্তি তাকে দত্তক নেওয়ায় এবার পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পাবে শিশু ফামেতা।