ভারীবর্ষণ, পাহাড়ী ঢল ও ব্রক্ষপুত্র নদের পানি বৃদ্ধিতে শেরপুরে প্রতিদিনই নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে ৬ শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ জুলাই) একদিনেই শেরপুর সদর উপজেলার পৃথক স্থানে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও এক শিশু। নিখোঁজ শিশু ভাগলগড় গ্রামের সামেদুল ইসলামের তৃতীয় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে রুবেল হোসেনকে (৮) উদ্ধারে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল। নিহতরা হলো, শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া এলাকার খলিলুর রহমানের মেয়ে খুশি আক্তার (৬), কামারের চর ইউনিয়নের চরবভবনা এলাকার মোফাজ্জল মিয়ার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে শামীম মিয়া (৮) এবং শেরপুর পৌর এলাকার নওহাটার মহল্লার নায়েব আলীর ছেলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান (১৩)।
পুলিশ বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসব মৃত্যু ও নিখোঁজের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বন্যার পানিতে টইটুম্বুর উত্তর গৌরীপুুরের একটি ডোবায় বন্ধুদের সঙ্গে ভেলায় চড়ে খেলতে গেলে সাতাঁর না জানা মেহেদী হাসান ভেলা থেকে পড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। একইদিন বেলা দুইটার দিকে চর ভাবনা গ্রামের দুই শিশু ভেলায় চড়ে খেলতে গিয়ে তারাও পানিতে পড়ে যায়। এ সময় একজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মোফাজ্জলের ছেলে শামীমকে উদ্ধার করা হয় মৃত অবস্থায়। সাতপাকিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের শিশু মেয়ে খুশি নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় পানিতে পড়ে গিয়ে মারা যায়।
এছাড়া গত শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে শেরপুরের শ্রীবরদীর গেরামারা ফকিরেরভিটা খালে সাঁতার কেটে খাল পাড় হওয়ার সময় নুর ইসলাম ওরফে ছোট গেল্লা (৩০) নামে এক ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। একই উপজেলায় রবিাবার (১৪ জুলাই) কাজলদহ বিলে মাছ ধরতে গিয়ে হাসমত আলীর (২৮) মৃত্যু হয় এবং মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বন্যার পানিতে ডুবে পৌরশহরের পূর্ব তাতিহাটি এলাকায় হামিদ (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে রবিাবার (১৪ জুলাই) ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া সরকারপাড়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে এক বছর বয়সী শিশু মাহিনের মৃত্যু হয়। একই উপজেলা সারিকালিনগর গ্রামে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বন্যার পানিতে ডুবে আছিমন নেছা (৯৭) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঝিনাইগাতীর সোমেশ্বরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থী মামুনের (১৩) লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।