সিরাজদিখানের ৭৬ নং রাজদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা কাঞ্চন মালা ‘কাবা শরীফ’ নিয়ে কটূক্তি করায় এলাকাবাসী ও আভিভাবকদর মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল শনিবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখাযায় কাবা শরীফ নিয়ে কটূক্তির বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা কথা বলছেন এবং তাদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুবায়ের বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমাদের ইসলাম ধর্ম পরীক্ষার সময় কাঞ্চন মালা দিদি (ম্যাডাম) আমাদের বলেন আমি এবার হজে¦ যাব। এ সময় এক ছাত্রী দাঁড়িয়ে বলে ম্যাডাম মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্মের লোকেরা তো হজে¦ যায় না। ম্যাডাম বলেন আমি জানি কেন যায় না। কারণ কাবা শরীফে মা-কালী পাহারা দেয়। সেখানে তুলশীপাতা ছোঁয়ালে মা-কালী ছুটে যাবে, তাই মুসলমানরা অন্য ধর্মের লোকদের সেখানে যেতে দেয় না।
রাজদিয়া দারুসসালাম মাদরাসার প্রধান শিক্ষক বলেন, কাবা শরীফ নিয়ে কটূক্তি করায় এলাকাবাসী আমাকে জানায়, আমি ও এলাকাবাসীসহ ওই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন এবং পরে স্বীকার করে বলেন এত ছোট বিষয়ে আপনারা এত বারাবারি করছেন কেন।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক কাঞ্চন মালা বলেন, বাচ্চারা আমার কাছে জানতে চায় আপনি কি হজে¦ যাবেন? আমি তখন বলি আমরা তো হিন্দু তাই আমাদের হজ¦ নেই। তবে ছোট বেলায় পূর্ব পুরুষদের মুখে শুনেছিলাম কাবাঘরে কী যেন থাকে, সেখানে তুলশী পাতা ছোঁয়ালে সেটা নাকি মুক্তি পাবে। এ কথা ছাড়া আমি অন্য কিছু বলিনি। বাচ্চারা কেন এমন অভিযোগ করেছে তা আমি জানি না। আমি আজ (শনিবার) বিদ্যালয়ে এসে এসবা শুনে হবাক ও মর্মাহত হয়েছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ বেগমের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারব না। এ সময় তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে মুঠোফোনটি ধরিয়ে দেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি। সহকারী শিক্ষা অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠাচ্ছি। বিষয়টির প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।