যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কোটি কোটি টাকা অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের খবর প্রকাশ ও কেউ যাতে কেউ আন্দোলন করতে না পারে তার জন্য বহিস্কার আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদেরকে জিম্মি করে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করা হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ¯œাতকোত্তর শিক্ষার্থী গোলাম রব্বানী এসব অভিযোগ করেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বর্তমান ভিসির অন্যোয়ের প্রতিবাদ করায় ৩৯জন শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। গত বছরের ২০ নভেম্বর তাকে (গোলাম রব্বানী) বহিস্কারের একটি চিঠির অফিস আদেশ ধরিয়ে দেয়া হয়। যেখানে বলা হয়, শারিরীক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে বহিস্কার করা হলো। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে আমার থাকার কোন সুযোগ নেই। কারণ আমি ওই বিভাগের শিক্ষার্থী না। এছাড়া, তদন্ত কমিটির কথা বলা হলেও আমাকে কোন কমিটির পক্ষ থেকে ডাকা হয়নি।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করতে চলতি বছরের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্তি মওকুফের জন্য আবেদন করি। কিন্তু ভিসি স্যার ছাত্রলীগের সাথে কোন ধরণের যোগাযোগ না রাখার শর্ত দিয়ে আবেদন করতে বলেন। যে আবেদনের ভিত্তিতে গত ১৪ মে একডেমিক কমিটির সভায় বহিস্কারাদেশের মেয়াদ দুই বছর থেকে কমিয়ে এক বছর করা হয়। এজন্য ১৮ জুন আমাকে একটি নোটিশ দেয়া হয়। সেই অনুযায়ী মাস্টার্স এর লেখাপড়া শেষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরইমধ্যে ১৪ জুলাই পুনঃভর্তির অনুমতি না দেয়া এবং শাস্তি বলবৎ প্রসঙ্গে ফের একটি নোটিশ দেয়। তবে কি কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তার কোন কারণ জানানো হয়নি।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, যবিপ্রবির ভিসি আনোয়ার হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। এসব অন্যোয়ের প্রতিবাদ বন্ধ করতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বহিস্কার আতঙ্ক সৃষ্টি করতে একের পর এক ছাত্রলীগের নেতাদেরকে বহিস্কার করছেন। তিনি আইন অমান্য করে বিনা টেন্ডারে তার অফিসের ৭৬ লাখ টাকার কাজ করিয়েছেন। এক কোটি টাকা ব্যয়ে একটি গ্যালারি নির্মাণ করেছেন। ৩৫ লাখ টাকার সেমিনার কক্ষ নির্মাণেও কোন টেন্ডার আহবান করা হয়নি। দেড় কোটি টাকার জেনম সেন্টার নির্মাণের ক্ষেত্রেও কোন টেন্ডার আহবান করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম রব্বানী ছাড়াও তার সহপাঠিরা উপস্থিত ছিলেন।