বরগুনায় রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেফতার আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছে। অন্যদিকে দ্রুত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে কাজ করছে পুলিশ। তবে আদালতে মিন্নির পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে মামলার বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে। আইনজীবী ও পুলিশের দাবি, মিন্নির স্বজনরাই এতদিন আইনি সহায়তা চায়নি। তবে আইনজীবী নিয়োগ দেয়ায় আজ সকালে আদালতে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির পক্ষে আইনজীবীরা জামিন আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।
গত ২৮ জুন থেকে রিফাত হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আসামীদের আদালতে হজির, রিমান্ড ও রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা শুরু করে পুলিশ।
তবে সব আসামীর ক্ষেত্রেই কোন আইনজীবীকে আদালতে আসামীর পক্ষে কাজ করতে দেখা যায়নি। তবে নিহত রিফাতের স্ত্রী এক নম্বর স্বাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে আদালতে আনা হলে প্রশ্ন ওঠে আইনি সহায়তা না পাওয়া নিয়ে।
মিন্নির বাবা বলেন, 'আমি আমার মেয়ের পক্ষে দাঁড়াতে অনেক আইনজীবীকে বলেছি। কিন্তু কেউ দাঁড়াতে চাইনি। একটা কুচক্রী মহল আমার মেয়েকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে।'
অবশ্য মিন্নির বাবার এমন বক্তব্য অমূলক দাবি করে পুলিশ ও আইনজীবীরা বলছেন, আইনি সহায়তা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় যাননি তিনি।
বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, 'মিন্নির বাবার অভিযোগ একেবারেই অমূলক।'
সম্প্রতি মানবাধিকার জোটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সঞ্জিব কুমার দাস আসামীদের পক্ষে কোন আইনজীবীকে কাজ না করার আহবান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাতকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে নয়ন বন্ড ও তার বাহিনী। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা মিন্নিকে এক নম্বর স্বাক্ষী করে মামলা করেন। তবে এখন স্বাক্ষীসহ গ্রেফতার ১৬ আসামীর মধ্যে ১৪ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।