লালমনিরহাটে ছেলে ধরা সন্দেহে এক মানসিক প্রতিবন্ধি নারীকে(৫০) গনপিটুনী থেকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
রবিবার(২১ জুলাই) সকালের দিকে লালমনিরহাট জেলা শহরের কলাবাগান কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লালমনিরহাটে সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ(ওসি) মাহফুজ আলম বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগলী) এক বৃদ্ধা নারী জেলা শহরের কলাবাগান কলোনি এলাকায় পরিত্যাক্ত রেললাইনে বসেছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা শিশুচোর সন্দেহে তাকে গনপিটুনী দেয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়দের ছুরে মারা পাথরের আঘাতে আহত হন উপ পরিদর্শক(এসআই) জিল্লুর রহমান। পরে ওই নারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত নারীর পরিচয় পাওয়া না গেলেও অনেকেই তাকে দীর্ঘ দিন ধরে শহরের বিভিন্ন গলিতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে আদিতমারী উপজেলায় আরো এক মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) কে গলা কাঁটা বা ছেলে ধরা সন্দেহে স্থানীয় লোকজন গনপিটুনী দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে য়ায়।
আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ফারুক বলেন, ছেলে ধরা সন্দেহে যে পাগলকে লোকজন গনপিটুনী দিয়েছে। প্রকৃতই সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল)। তার বাড়ি রংপুর জেলায়। পাগলটিকে পুলিশের নিকট থেকে নিয়ে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক পিপিএম জানান, অপরিচিত কাউকে কোন রুপ সন্দেহ হলে আইন হাতে তুলে না নিয়ে নিকটস্থ পুলিশকে খবর দিন। সন্দেহ হলেই কেউ অপরাধি নয়। মাথা কাঁটা বা ছেলেধরা এটা একটি গুজব মাত্র। গুজবে কান না দিতেও সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।