নীলফামারীর ডোমারে হরিজন সম্প্রদায়ের ২৫ বছরের এক যুবকের ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা ধর্ষনের শিকার হয়েছে। ঘুমন্ত অবস্থায় ধর্ষিতার মুখে গামছা দিয়ে বেধে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষন করা হয় বলে অভিযোগে প্রকাশ। এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ঈদগাপাড়া গ্রামে আজ সোমবার ভোরে। ধর্ষনের ঘটনায় এলাকাবাসীর সহযোগীতায় পুলিশ ধর্ষক যুবক সাধন দাসকে আটক করেছে। ধর্ষক সাধন দাস চিলাহাটি মার্চেন্টস উচ্চবিদ্যালয়ের ঝাড়ুদার শংকর দাসের ছেলে। অপর দিকে ধর্ষিতা বৃদ্ধার স্বামী নুরুল হক একই বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী। বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) জয়ব্রত পাল ও ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। এলাকাবাসী জানায়, ওই বৃদ্ধার চার মেয়ে সন্তান। চার মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন এবং নাতী নাতনী রয়েছে। ওই বৃদ্ধা স্বামী সহ স্কুলের জমিতে ঘর তুলে বসবাস করে আসছে। বৃদ্ধার অভিযোগ পৃথক ধর্মের হলেও হরিজন সম্প্রদায়ের সাধন দাস তাকে বড় আম্মা বলে ডাকতো। প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতে স্বামী স্কুলে পাহাড়া দেয়ার জন্য গেলে তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরের দিকে বসতঘরের সিদ কেটে চুপিসারে ঘরে ঢুকে সাধন দাস তার মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকেন। সকাল ৬টায় স্বামী বাড়ী এসে ঘরের মাটির মেঝেতে সিদ কাঁটা দেখে চিৎকার করলে লোকজন ছুটে আসে। এরপর বৃদ্ধা ঘটনাটি প্রকাশ করলে এলাকাবাসী চিলাহাটি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে সাধন দাসকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষনের বিষয়টি স্বীকার করেছে।