পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করায় রাজবাড়ীর নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। তবে পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন আতঙ্ক। তবে ভাঙ্গন কবলিত স্থান গুলোতে জরুরী ভিত্তিতে ২৫০ কেজি ওজনের বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বুধবার সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য জানায়। পানি কমতে শুরু করলেও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও পাংশার সেনগ্রাম গেজ স্টেশন পয়েন্টে আজও পদ্মা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘন্টায় জেলার গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমে ২০ সেসেন্টিমিটার, পাংশা উপজেলার সেনগ্রাম পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদ সীমার ১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে বাঁধের বাইরে থাকা জেলার কালুখালীর রতনদিয়া, কালিকাপুর, সদরের মিজানপুর, দাদশী, বরাট ও গোয়ালন্দের ছোটভাকলা, দেবগ্রাম ইউনিয়ন, দৌলতদিয়াসহ ১০টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি বানভাসি মানুষ পানি বন্দি হয়ে আছে। বন্যার পানির কারণে খাওয়া-দাওয়াসহ গবাদি পশুর খাবার নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে যায় ওইসব নিম্নাঞ্চলের ৯৩৫ হেক্টর ফসলি জমি ও রাস্তা ঘাট এবং পানির কারণে বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এসএম নুরুন্নবী বলেন, ইতোমধ্যে রাজবাড়ী জেলার চারটি উপজেলার পদ্মা নদীর নি¤œাঞ্চলের মানুষ পানি বন্দি রয়েছে। ইতোমধ্যে আমি ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ঝুকিপূর্ণ জায়গাগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য। পানি বাড়লেও বাঁধের তেমন কোন ধরনের ক্ষতি হবেনা বলে জানান এই কর্মকর্তা।