সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে চালক ও হেলপারের উপর যুবলীগ নেতা মিজানের হামলায় সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রায় ১ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষোব্ধ শ্রমিকরা। আহত পিকআপ চালক ও হেলপারকে ফেঞ্চুগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে (২৪ জুলাই) বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে। তবে প্রশাসনের আশ^াসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোব্ধ শ্রমিকরা।
ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি রাসেল আহমদ টিটু জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের ভিতরের সড়কের পাশে পিকআপ সাইট করে কাঠ উঠাচ্ছিলেন চালক আবু মিয়া (২৫) ও হেলপার শফিক (১৭)। এ সময় যুবলীগ নেতা মিজান ওই রাস্তা দিয়ে নোহা গাড়ী নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন মিজান রাস্তা থেকে পিকআপ সরাতে বললে এ সময় হেলপার শফিক নোহার চালককে পাশকাটিয়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানালে ক্ষিপ্ত মিজান প্রথমে হামলা চালান হেলপার ও পরে চালকের উপর। খবর পয়ে মিজানের সহযোগিরাও ঘটনাস্থলে এসে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আবু ও শফিক আহত হলে স্থানীয়রা তাদের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে বিক্ষোব্ধ শ্রমিকরা কুশিয়ারা সেতুর উত্তর প্রান্তে টুল প্লাজার পাশে সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত প্রায় ১ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। হামলাকারী মিজান পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের ইন্তাজ মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় যুবলীগের সক্রিয় কর্মী।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জসীম উদ্দিন ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আবুল বাসার মোঃ বদরুজ্জামান ঘটনাস্থলে পৌছান। শ্রমিকদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস পেলে বিক্ষোব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
সড়ক অবরোধের সত্যতা স্বিকার করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জসীম উদ্দিন জানান, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। শ্রমিকদের থানায় লিখিত অভিযোগ প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। এ আশ^াস পেয়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। এভাবে অনুরূপ কথা জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আবুল বাসার মোঃ বদরুজ্জামান। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
পরে আহত চালক ও হেলপারকে হাসপাতালে গিয়ে তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন ইউএনও মোঃ জসীম উদ্দিন ওসি আবুল বাসার মোঃ বদরুজ্জামান।