বর্ষার প্রভাব পড়েছে চাটমোহরের সবজি বাজারে। এক সপ্তাহের মধ্যে সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। নাগালের বাইরে চলে গেছে কাঁচা মরিচের দাম। নাভিশ্বাস সাধারণ ক্রেতাদের। আকষ্মিকভাবে হওয়া বর্ষায় চাটমোহর উপজেলায় ৫৩৫ হেক্টর আবাদি জমি ডুবে গেছে। বর্ষার প্রভাব পড়েছে শাক-সবজির দামের উপর। প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে পাটের ফলনে।
কৃষক আজাদ আলী ও আব্দুল মান্নান জানান, এ বছর আকস্মিকভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ষায় বেশি ক্ষতি হয়েছে ঝিঙা, পটল ও ঢেঁড়শের আবাদ। মরে গেছে মরিচের গাছ। প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। প্রতিদিনই কেজিতে ১০/১৫টাকা বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। বৃহস্পতিবার সকালে চাটমোহর নতুন বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৭০/১৮০ দরে। দাম কেজিতে ৫/৮টাকা বেড়েছে পটল, ঝিঙাসহ অন্যান্য সবজিতে। একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা আর কুমড়া ২০ টাকা। আড়ৎদার ও বিক্রিতেরা বলছেন,বর্ষার কারণ ফলন কমে যাওয়ার কারণে দাম বাড়ছে। সবুজ শাক ও লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি।
এদিকে,পানির কারণে তাড়াহুড়ো করে পাট কাটছেন কৃষক। কারণ পানিতে থাকা পাট কাটা কষ্টসাধ্য ও অধিক ব্যয় সাপেক্ষ। অনেকটা অপরিপক্ক পাট কাটার কারণে ফলনের উপর প্রভাব পড়বে। এ শঙ্কা খোদ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র বলছে, এ বছর বোনা আমনের আবদ হয়েছে ১১ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। সবজির আবাদ হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে। পাটের আবাদ হয়েছে প্রায় ৭হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ৫শ হেক্টর আমন ধান। তলিয়ে গেছে ৩০হেক্টর সবজির জমি ও ৫ হেক্টর কাঁচা মরিচের ক্ষেত। পাট কাটা হয়েছে প্রায় ৩শ ৩০ হেক্টর জমির।
সুত্র জানায়, বর্ষায় বেশি ক্ষতি হয়েছে নিমাইচড়া, হান্ডিয়াল, বিলচলন ও গুনাইগাছা ইউনিয়নে। এ তিন ইউনিয়নের বেশিরভাগ আবাদি জমি এখন পানির নিচে।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান রশীদ হোসাইনি বলছেন, পানি কমতে শুরু করেছে। পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতি কেমন বোঝা যাবে।