সহপাঠিদের সাহসিকতায় আলআমীন (১৯) নামে এক বখাটে ইভটেজারকে আটক করলো ভ্রাম্যমান আদালত। আজ শনিবার (২৭ জুলাই) বেলা পৌনে ১ টায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জসীম উদ্দিন ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় থানার সম্মূখে পিকআপ ষ্ট্যান্ড থেকে আলআমীনকে আটক করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্য্যালয়ে এক ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জসীম উদ্দিন ইভটিজিংয়ের দায়ে আলআমীনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। আটককৃত যুবক আলআমীন উপজেলার পাঠানচক (কটালপুর) গ্রামের আয়াজ আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জসীম উদ্দিন জানান, ফরিজা খাতুন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সহপাঠিদের নিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের হতেই বখাটে আলআমীন ওই শিক্ষার্থীর নাম ধরে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এ বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাঁর সাথে থাকা সহপাঠি সায়মা বেগম ও মাহমুদা জানানাত কৌশলে সাহসিকতার সহিত ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় গিয়ে বিষয়টি অবহিত করে। পরে থানা থেকে খবর পেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার এএসআই শেখ আলাউলসহ ফোর্স নিয়ে পিকআপ ষ্ট্যান্ড থেকে আলআমীনকে আটক করা হয়। এ সময় আলআমীনের সাথে থাকা ১ টি চায়না এনড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তাতে দেখা যায়, ইভটেজার আলআমীন ওই শিক্ষার্থীর ছবি তাঁর (আলআমীন) নিজের ছবির সাথে সংযুক্ত করা, যা এডিট হিসেবে প্রতিয়মান।
ওই শিক্ষার্থীর বক্তব্য থেকে জানা গেছে, স্কুলে আসা যাওয়ার সময় তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত আলআমীন এবং এসব এডিট করা ছবি দিয়ে পরিবারকেও হুমকি দিত। লজ্জায় বিষয়টি কাউকে জানাতোনা শিক্ষার্থীর পরিবার।
পেনাল কোডের ১৮৬০ সনের ৫০৯ ধারায় আলআমীনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে, পাশাপাশি উদ্ধারকৃত মোবাইল সেটটি থানা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাহী ফেঞ্চুগঞ্জের ইউএনও ও ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জসীম উদ্দিন।