নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নের মকিমপুর এলাকায় পাটাতন ভেঙ্গে পড়া কালভার্টে প্লেনশিটের উপর দিয়ে চলছে যান চলাচল। এতে প্লেনশিট ভেঙ্গে পড়ে যে কোন সময় প্রাণহানীসহ বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, নাটোর-পাবনা মহাসড়কের মকিমপুর থেকে কাঠালবাড়িয়া পর্যন্ত পাকা রাস্তার মকিমপুর অংশে ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত প্রায় আড়াই বছর আগে কালভার্টটির পাটাতন ভেঙ্গে যায়। এতে চরম বিপাকে পড়েন এ রাস্তায় চলাচলকারী মকিমপুর, কাঠালবাড়িয়া, ঢুলিয়া ও মশিন্দা গ্রামের শত শত শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য বাসিন্দারা। পরে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কালভার্টের পাটাতনের উপরে দুটি পুরনো প্লেনশিট দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত এসব গ্রামের বাসিন্দারা পায়ে হেটে ও যানবাহনে চেপে এ প্লেনশিটের উপর দিয়েই চলাচল করছেন। সচরাচর ভুটভুটি বা মালবোঝাই ভ্যান-রিক্সা উঠলে কালভার্টের প্লেনশিটটি দুলতে থাকে। দ্রুত নতুনভাবে তৈরী করা না হলে যে কোন সময় প্লেনশিটসহ কালভার্ট ভেঙ্গে প্রাণহানী ও বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, এ পথে ভ্যানযোগে ধানসহ কৃষিপণ্য আনা নেয়া করতে হয়। কালভার্টটি পার হতে গিয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকি, কখন যেন ভেঙ্গে পড়ে।
স্কুল ছাত্রী আরিফা ও জলি জানায়, আমরা প্রতিদিন ভ্যান-ভুটভুটিতে করে স্কুলে যাই। কালভার্ট পার হওয়ার সময় প্লেনশিট যেভাবে দুলতে থাকে তাতে সব সময় দুর্ঘটনার ভয়ে থাকি।
এ ব্যাপারে নগর ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন জানান, এখানে একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা খুবই জরুরী। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই কালভার্টটি নির্মাণ করা হবে।