একের পর এক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে । সরকারের দাবি, সচেতনার অভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। এরআগে পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে এমন গুজব নিয়েও সারা দেশে তুলকালাম ঘটে যায়। ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ। দেশে চলমান ডেঙ্গু ও গুজব সমস্যা প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি জনসচেতনতায় চলচ্চিত্র শিল্পীরাও নামলেন রাজপথে।
ডেঙ্গু বিস্তার রোধে ও সমাজে সচেতনা তৈরি করতে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে এফডিসির সামনে মানবন্ধন ও র্যালিতে অংশ নেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা।
মানবন্ধনের পর র্যালি হিসেবে এফডিসির গেট থেকে হাতিরঝিলের পাশ দিয়ে আবার এফডিসি গেটে এসে জড়ো হন শিল্পীরা। এর আয়োজন করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সঙ্গে ছিলেন ডিমপি’র কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা।
সেখানে অংশ নেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, রোজিনা, জায়েদ খান, নিরব, অঞ্জনা, নাসরিন, আমান রেজা, পলি, কেয়া, শহিদুল আলম সাচ্চু, মৌমিতা মৌ, জয় চৌধুরী, রোমানা, বিপাশা কবির, সাঞ্জু, সহ এফডিসির বিভিন্ন সংগঠনের মানুষজন।
মানববন্ধনে ডেঙ্গু নিয়ে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন: আগে নিজেদের সচেতন হতে হবে। নিজেদের চারপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
গুজব নিয়েও কথা বলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের তারকা অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
ডেঙ্গু রোধ করতে জনসচেতনার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন অভিনেতা ও প্রযোজক সমিতির নেতা শহীদুল আলম সাচ্চু। একইসঙ্গে তিনি গুজব নিয়েও কথা বলেন। সাচ্চু বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গুজবকারীদের বোঝানোর জন্য অনুরোধ করছি। গুজবে কান দেবেন না আর আইন নিজের হাতে তুলে দেবেন না।
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, চলমান বিভিন্ন গুজব, গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা এবং ডেঙ্গু জ¦রের প্রকোপ প্রতিরোধে এই মানবন্ধন। শিল্পীরা জাতির বিবেক। তাই বিবেকের তাড়নায় আমরা সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে চাই। পাশাপাশি গুজব প্রতিরোধে আমরা পুলিশের সাহায্য নিতে পারি এবং নিজেদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারি।
চিত্রনায়ক নিরব বলেন, অসাবধনাতার বসেই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ‘কান নিয়ে গেছে চিলে’ জেনেই মানুষ চিল ধরার পিছে ছুটছে কিন্তু কানে হাত দিয়ে দেখছে না আদৌ চিলে কান নিয়ে গেছে কিনা! মিথ্যে গুজবে ভরে গেছে চারপাশ। এসব নিয়ে জনসচেতনা তৈরি করতে আমরা রাস্তায় নেমেছি।
গুজব নিয়ে ‘আব্বাস’ খ্যাত এই চিত্রনায়ক বলেন: বাংলাদেশ পুলিশের ৯৯৯-এ ফোন করেও গুজবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ অবস্থান নিতে পারে যেমনটা আমার ‘আব্বাস’ ছবির পাশে ছিল। মোটকথা, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই আমাদের রাস্তায় নামতে হলো।