ডেঙ্গু রোগী সনাক্তকরণ ও চিকিৎসায় দুস্ত, অসহায় ও অসচ্ছল রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ফরিদপুরের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিকগণ। ফরিদপুর প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ফরিদপুরের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিকদের পাশাপাশি ফরিদপুরের সিভিল সার্জন এনামুল হক ও ডেপুটি সিভিল সার্জন আফজাল হোসেনও বক্তব্য দেন।
সভা শেষে ফরিদপুর প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর উদ্দিন জানান, ফরিদপুরে মোট ১০টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু রোগীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে আরোগ্য সদন, নূর সুপার ডায়গনস্টিক, হ্যাপি হাসপাতাল, ফরিদপুর এ্যাপোলো ডায়গনস্টিক সেন্টার, ফরিদপুর সমরিতা জেনারেল হাসপাতাল, আফতাব ডিজিটাল ডায়োগনিস্টিক সেন্টার, লিলি প্রাইভেট হাসপাতাল এ- ডায়গনস্টিকত সেন্টার, ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল, সৌদি বাংলা প্রাইভেট হাসপাতাল ও স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
সভায় সিন্ধান্ত হয় উল্লিখিত প্রতিটি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিত সেন্টারের সামনে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি টানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি বিশেষ বিবেচনায় জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের প্রত্যয়নপত্র অনুযায়ী দুস্ত ও অসহায় রোগীদের ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিত সেন্টার তাদের সাধ্য অনুযায়ী বিনামূল্যে এ চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে।
ফরিদপুর প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আওলাদ হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও সিভিল সার্জন এনামুল হক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকদের নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন। ওই সভায় জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকগণ।