সোনারগাঁয়ের মেঘনা শিল্প নগরী এলাকায় একটি শিপইয়ার্ডে জাহাজের ট্যাংকি (বার্জ) বিস্ফোরণ হয়ে সাব্বির নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো তিন শ্রমিক আহত হয়েছে। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার মেঘনা ঘাটের ইসলামপুর এলাকায় আনন্দ গ্রুপের ‘আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড স্লিপওয়েজ লিমিটেড’ নামে শিপইয়ার্ডে জাহাজের ট্যাংকি (বার্জ) বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাব্বির নামের এক শ্রমিক নিহত ও সাব্বির, রবিন, সোহেল ও নাজির হোসেন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আহত রবিনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের ৯৫ ভাগ পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত সাব্বির উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে। ঘটনার সময় নিহতের বড় ভাই রবিন আহত হয়। এছাড়াও ইসলামপুর আদর্শ গ্রামের কুদ্দুসের ছেলে সোহেল ও গঙ্গানগর গ্রামের রফিউল্লাহর ছেলে নাজির হোসেন আহত হয়েছেন।এঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মেঘনা শিল্প নগরীর ‘আনন্দ শিপইয়ার্ডে শনিবার সকালে নির্মাণাধীন জাহাজের বার্জ বিস্ফোরিত হয়ে চার শ্রমিক আহত হয়। এ সময় সাব্বির নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে রবিনের অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনন্দ শিপইয়ার্ডের এডমিন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড স্লিপওয়েজ লিমিটেডের ম্যানেজার মাহবুবর রহমান জানান, একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আমরা দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে শ্রমিক সাপ্লাইয়ের চুক্তি করেছি। আমাদের প্রতিষ্ঠান সরাসরি কোন শ্রমিককে নিয়োগ দেয়নি। ওই প্রতিষ্ঠানের চুক্তিতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি স্পষ্ট লেখা রয়েছে। শ্রমিক নিহতের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিপূরন দেওয়ার চেষ্টা করবো।