৫ বছর থেকে অতিথি পাখির অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে খুর্দ্দোবাউসা গ্রাম। দিন দিন বাড়ছে পাখির সংখ্যা। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে এটিও হতে পারে পাখির বড় অভয়াশ্রম।
জানা যায়, সাধারণত শীত প্রধান দেশ সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া, নেপালসহ আরো অনেক দেশ থেকে এখানে আসে এসব অতিথি পাখি। পাখিগুলো এ এলাকার মানুষের সাথে সৃষ্টি হয়েছে এক ধরনের আত্মিক সম্পর্ক। যে কারণে এরা প্রকৃতিকে নিরাপদ ভেবে এসে ভিড় জমাচ্ছে এ গ্রামের আম ও বাঁশ বাগানে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের খুর্দ্দোবাউসা গ্রামের ও সাবেক আড়ানী পৌর মেয়র মরহুম মিজানুর রহমানের আম ও বাঁশ বাগানে এসব অতিথি পাখি আশ্রয় নিয়েছে। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো গ্রাম। কোনো প্রকার সরকারি ঘোষণা ছাড়াই পাখির অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে এ গ্রামে বিশাল আম ও বাঁশ বাগান।
৫ বছর থেকে পাখি এখানে রয়েছে। বর্তমানে পাখির কিচিরমিচির ডাকে মুখরিত পুরো এলাকা। আগত মানুষ মন ভরে উপভোগ করছেন পাখির উড়া-উড়ি, কালকাকলি আর কিচিরমিচির ডাক। অনেকে পাখির অবাধ বিচরণ আর ডানা মেলে উড়ে বেড়ানো পাখির।
আড়ানী চকরপাড়া গ্রামের পাখি প্রেমি রুবেল আহম্মেদ বলেন, বরাবরের মতো আমি পাখি প্রিয়। একসময় বাসায় পাখি লালন-পালন করতাম। সম্প্রতি এসব পাখি মুক্ত করে দিয়েছি। সকালে পাখি দেখব বলে এখানে এসেছি। এমন ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির দল বেঁধে আকাশে উড়ে বেড়ানো আর কলকাকলি দেখে ভালো লাগছে।
খুর্দ্দোবাউসা গ্রামের ও আড়ানী ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি সুলতান আহম্মেদ বলেন, মাঝে মাঝে বন্দুক নিয়ে অনেকে পাখি শিকারে আসতো এখানে। আমরা পাখি রক্ষানা বেক্ষণ কমিটি করেছি। এখানে বন্দুক নিয়ে কাউকে দেখলে পুলিশে খবর দিয়ে তাকে ধরিয় দেয়া হবে। মর্মে ইদানীং শিকারিরা আর আসে না। এখানে গত ৫ বছর ধরে পাখি আসে। আমরা পাখিগুলো কোনো রকম বিরক্ত করি না।
আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক রবিকুল ইসলাম বলেন, ৫ বছর থেকে পাখির অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে খুর্দ্দোবাউসা গ্রাম। পাখি প্রেমিকদের ইতিমধ্যেই আকৃষ্ট করেছে অতিথি পাখি। তবে একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে এটিও হতে পারে পাখির বড় অভয়াশ্রম। দলে দলে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। বিকেল বেলায় পাখির কিচিরমিচির শব্দে এ গ্রাম মুখরিত হয়ে ওঠে।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, আসলে অতিথি পাখিরা শীতের সময় অনেক দূরদূরান্ত থেকে আসে। অতিথি পাখিরা যেখানে তাদের খাবারের সুবিধা বেশি পাবে, নিরাপদ আশ্রয়স্থল পাবে সেখানেই যাবে।