নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের অস্ট্রেদ্রোন গ্রামের মাজার নামবস্থানে মোঃ আমির হোসেন (৩৮) নামের এক বিকাশ ব্যবসায়ীর এক লাখ টাকা ও ৭টি মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা স্থানীয় লোকজন তিন কিশোর অপরাধীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পাদ করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে ঃ উপজেলা ডমুরুয়া ইউপির নলুয়া গ্রামের ইব্রাহিম আমিন বাড়ির ইলিয়াসের ছেলে শাহ জামাল প্রকাশ জামসেদ (১৮), কাদরা ইউপির তাহেরপুর গ্রামের রসুল আমিনে ছেলে সুজন (২১) ও সেনবাগ পৌরসভার উত্তর কাদরা গ্রামের লতিফ ভূঁইয়া বাড়ির জামাল ভূইয়ার ছেলে আরিফ ভূঁইয়া(১৮)। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আমির হোসেন বাদি হায়ে মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ স্থানীয় সুত্রে জানায়, শনিবার রাতে সেনবাগ বাজারের বিকাশ, পিউর-ক্যাশ, নগদ, ফ্যাক্সী ও ডাস বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ব্যবসায়ী আমিন হোসেন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি জামালপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ,সেনবাগ-জামালপুর সড়কের অস্ট্রোদ্রোন গ্রামের মাজার নামকস্থানে পৌছলে দুইটি মোটর সাইকেল যোগে ৫/৬জনের একদল ছিনতাইকারী আমির হোসেন হাতে থাকা নগদ টাকা ও ৭টি মোব্ইালফোন ভর্তি ব্যাগ টানদিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আমির হোসেন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে হাত-পা- সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়। এ সময় তার আত্মচিৎকারে আশপাশ্বে লোকজন এগিয়ে এসে একটি মোটরসাইকেল সহ তিন কিশোর ছিনতাইকারীকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পয়ে রাত ১২ টারদিকে সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান, ওসি তদন্ত আবদুল আলী পাটোয়ারী, এএসআই কাউছার আহমেদের নেতৃত্বে তিনটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌছ ছিনতাইকারী তিন কিশোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিন ছিনতাইকারীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ওসি মিজানুর রহমান জানায়,তাদেরকে সেনবাগর মইশাই ও হোমনাবাদ শ্রীপুর গ্রামের ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ এবং আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ডে আবেদন করা হয়েছে।