সরকারী অফিসসমুহে সেবা ও সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যা নিষ্পত্তি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষে ভোলার তজুমদ্দিনে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দিনভর উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতের আদালে এ শুনানি করেন দূর্নীতি দমন কমিশনের মহা-পরিচালক (তদন্ত-১) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল বিভাগ দূর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক জুলফিকার আলী ও ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকী।
জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, বরিশাল বিভাগ দূর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক জুলফিকার আলী, তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোশারেফ হোসেন দুলাল, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। শুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক মহা-পরিচালক বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু সংখ্যক দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আমরা দেশটাকে দূর্নীতি থেকে মুক্ত করে সরকারী সকল সেবা জনগণের জন্য নিশ্চিত করতে চাই।
এ গণশুনানিতে ১৪টি অভিযোগ উপস্থাপিত হয়। এরমধ্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেন মোঃ রিয়াজ পরে অভিযোগটি অধিকতর তন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। এ কমিটিকে আগামি ১ সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আওতায় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের অবৈধ সার্টিফিকেট ও অনিয়মের অভিযোগ এবং প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তার দপ্তর সংশ্লিষ্ট গুচ্ছগ্রাম বিষয়ক অভিযোগ দুদক তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষনা দেন।