নাটোরের সিংড়ায় রেশমী খাতুন (১৫) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে আপন চাচা। রোববার দুপুর আড়াই টার দিকে উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের দেওগাছা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনার মূল নায়ক আপন চাচা শাহাদৎ হোসেন (৩১) কে গন ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। নিহত রেশমী খাতুন স্থানীয় বামিহাল অনার্স কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী ও দেওয়াগাছা গ্রামের দিন মজুর আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাকুরিয়গ্রামে রেশমী খাতুনের বড় দাদা মারা যায়। রেশমীর বাবা-মা সহ বাড়ির সবাই সেই জানাযায় যায়। এ সময় রেশমী খাতুন বাড়িতে একাই অবস্থান করছিল। এই সুযোগে আপন চাচা বখাটে শাহাদৎ হোসেন ভাতিজী রেশমী খাতুনকে ধর্ষন করে মাটির ঘরের দোতলায় রেলিংওপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে রেশমীর ছোট বোন স্থানীয় দেওগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতি খাতুন বাড়িতে এসে বড় বোনের লাশ দেখতে পায়। পাশেই বখাটে চাচাকে দেখে সে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। পরে এলাকাবাসীরা চাচা শাহাদৎ হোসেনকে আটক করেপুলিশে সোপর্দ করে। আটক শাদাহৎ হোসেন মসলেম আলীর ছেলে।
নিহত রেশমী খাতুনের মা সোনাভান বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে ঘাতক শাহাদৎ হোসেন।
সিংড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে রেশমীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আর ঘাতক শাহাদৎ হোসেকে আটক করা হয়েছে।