ফেনীর সোনাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৯২ জন সাক্ষীদের মধ্যে ৭৪ তম স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন চলছে। আজ মামলার ১৬৪ ধারা জবানবন্দী গ্রহনকারী জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহন হচ্ছে।তিনি এ মামলার আসামীদের জবানবন্দীতে কি শুনেছেন তা আদালতকে জানাবেন।পরে সাক্ষ্যগ্রহন শেষে আসামি পক্ষের আইনজীগণ তাকে জেরা করবেন।
এর আগে দুপুরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ ও আওয়ামী লীগ নেতা রহুল আমিন,কাউন্সিলর মাকসুদসহ অভিযুক্ত ১৬ আসামীকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
গতকাল জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহন ও জেরা শেষ হয়।তিনি এ মামলার ১৬ আসামীর মধ্যে ৭ জনের জবানবন্দী গ্রহন করেছিলেন।
গত ২৭ জুন এ মামলায় প্রথমে নুসরাতের বড় ভাই ও মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানের স্বাক্ষ্যদানের মধ্যে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়। মামলাটি ১৮০ দিনের মধ্যে সমাপ্ত করার বাধ্যতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী।
এদিকে আজ একই আদালতে ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতের মা শিরিন আক্তারের থানায় দায়ের করা শ্লীলতাহানির মামলার চার্জগঠন করা হয়েছে।এসময় আদালত আগামি ২৭ অক্টোবর পুনরায় মামলার কার্যক্রম পরিচালোনার দিন ধার্য করা হয়।
উল্লেখ্য:২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ করায় গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় অধ্যক্ষের অনুসারীরা।পরে ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নুসরাত মারা যায়। হত্যার ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।