জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে ছাঁদ পরিস্কার করতে গিয়ে ছাঁদ থেকে পড়ে ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে বলে আহতের পরিবারের দাবী উঠেছে। গত রোববার (৪ জুলাই)উপজেলার রুদ্র বয়ডা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। গত দুইদিন যাবৎ সে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থী’র পরিবার সুত্রে জানা গেছে,সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিজ আঙিনা পরিস্কার রাখি,সবাই মিলে সুস্থ্য থাকি, প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ডেঙ্গু মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পুর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানের আঙিনা ও ছাঁদ পরিস্কার করার উদ্যোগ নেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা।এ লক্ষে গত রোববার (৪ জুলাই)দুপুরে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির আঙিনা ও ছাঁদ পরিস্কার শুরু করলে ছাঁদ পরিস্কার করতে যাওয়া ৮ম শ্রেনীর ছাত্র আমিনুল ইসলাম(১৫) ছাঁদ থেকে পড়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে আসেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ও শিক্ষার্থীর পরিবার পরিজন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা সোমবার (৫জুলাই)সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলামের মা হালিমা বেগম ও তার স্বজনদের বিছানায় বসে থাকতে দেখেন। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর মা হালিমা বেগম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার ছেলে ছাঁদ থেকে পড়ে শয্যাশায়ী হয়ে হাসপাতালে। আমার ছেলে উঠতে ও বসতে পারছেনা। তার সারা শরীর ব্যাথা। তাকে দুই /তিন জনে ধরে প্রস্্রাব-পায়খানা করতে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিক্ষার্থীর মা হালিমা বেগমের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলা শেষ করে শয্যাশায়ী আমিনুল ইসলামের ছবি তুলতে গেলে বিদ্যালয়ের রুকন নামে এক কর্মচারী সাংবাদিককে ছবি তুলতে বাধা প্রদান করে। এ সময় রুকন বলেন ছবি তুলতে হলে প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বাছেদ স্যারের অনুমতি লাগবে। পরে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের আগত রোগীর স্বজনরা বিদ্যালয়ের কর্মচারী রোকনের উপর ক্ষেপে উঠলে সাংবাদিকরা আহত শিক্ষার্থীর ছবি তোলতে সক্ষম হন।
জানতে চাইলে রুদ্র বয়ড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বাছেদ বলেন,সিড়ি থেকে পড়ে আহত শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকে’র নিকট মোবাইল ফোনে ফোন করলে তিনি রিসিপ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।