যশোরের কেশবপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুটি বাল্য বিবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানূর রহমান পৃথক ভাবে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বর-কনেসহ ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ প্রদান। মঙ্গলবার সকালে কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্তদের যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে উপজেলার আলতাপোল গ্রামে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানূর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছে অভিযান চালিয়ে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার মাহমুদকাঠি গ্রামের ওয়াজেদ আলী পাড়ের ছেলে বর মনিরুল ইসলাম(২৭), তার বড়ভাই মেহেদী হাসান(৩০), কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে শামীমা খাতুন(১৬), মেয়ের মা সেলিনা বেগম(৪৭) ও নানী রহিমা বেগমকে(৬৯) আটক করেন। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বর মনিরুল ইসলামকে ২ বছর, বরের ভাই মেহেদী হাসানকে ১ বছর, কনের মা সেলিনা বেগমকে ৬ মাস, নানী রহিমা বেগমকে ৭ দিন কারাদ- ও কনে শামীমা খাতুনকে ১ মাসের আটকাদেশ প্রদান করেন। অপর দিকে একই রাতে একই ঘটনায় উপজেলার ভেরচী গ্রামে অভিযান চলিয়ে মৃত অমল দাসের ছেলে নকুল দাস(২৬) ও সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার জিয়ালানলতা গ্রামের প্রকাশ দাসের মেয়ে অসিমা দাসকে(১৭) আটক করেন। এ সময় ভাম্যমান আদালত বসিয়ে ছেলে নকুল দাসকে ২ বছর কারাদন্ডাদেশ ও কনে অসিমা দাসকে ১ মাসের আটকাদেশ প্রদান করেন।
এব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানূর রহমান বলেন, পৃথক দুটি বাল্যবিবাহর অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বর-কনে সহ ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়। কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্তদের মঙ্গলবার সকালে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।