খুলনার পাইকগাছায় নিম্নচাপ ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে শতাধিক ছেট-বড় চিংড়ি ঘেরের মৎস্য সম্পদ ভেসে গেছে। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিরও খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ঘের মালিকদের অভিযোগ উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের খালিয়া পার্শ্বেমারী (বদ্ধ) ৭৪.৬৮ একরের জলমহালের গেটের দায়িত্বরত সাবলীজ হোল্ডারদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন কর্মকা-ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে জলমহালের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, জোয়ারের প্রভাবে গভীর রাতে সোলাদানা ইউপি স্লুইচ গেটের ঢাকনী ভেঙে এ ঘটনা ঘটেছে।
দূর্যোগর্পর্ণ আবহাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছালে নুনিয়াপাড়ার বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য পরিতোষ কুমার মন্ডল জানান, নি¤œচাপে বৃষ্টিপাত ও অন্যদিকে জলমহালের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় আনিস সানা, হাফিজ ও অক্ষয় গংরা নুনিয়াপাড়া ৪ মুখের স্লুইচ গেট দিয়ে জোয়ার দিলে পরে গেটের পাট বা ঢাকনি ওঠা নামা করতে পারেনি। এর ফলে নুনিয়াপাড়া, খালিয়ারচক ও পশ্চিম কাইনমুখির শতাধিক ছোট-বড় চিংড়িঘের তলিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মৎস্য সম্পদ ভেসে গেছে। ফসলি ক্ষেত, চলাচল রাস্তা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনা পরিকল্পিত দাবী করে কৃত্রিম জোয়ারে চিংড়ি সহ সাদা মাছের ব্যাপক ক্ষতির কথা বলে ৩শ বিঘার গণঘের মালিক নৃপেন মন্ডল সহ স্থানীয়দের অভিযোগ, জলমহাল ইজারাদার কয়রার অর্জুন পুরের মোনায়েম গাজীর কাছ থেকে ১২জন সাবলীজ নিয়ে আনিস গংরা এ ক্ষয়-ক্ষতি ঘটিয়েছে। এ অভিযোগ প্রসঙ্গে জলমহালের স্লুইচ গেটের দায়িত্বে থাকা আনিস সানা বলেন, জোয়ারের চাপে মধ্যরাতে গেটের পাট বা ঢাকনী ভেঙে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সুকায়না বলেন, তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার কথা জানান। অন্যদিকে গত কয়েকদিন একাধারে বর্ষণে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চিংড়িঘের, ফসলেরমাঠসহ রাস্তাঘাট ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।