এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে অনেকের প্রাণহানি ও আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধিন কয়েক হাজার মানুষ। লালমনিরহাটেও ২৮ রোগী সনাক্ত হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক তৈরী হয়েছে। তাই মশক নিধনে মশার আস্তানায় হানা দিয়েছে জেলা পুলিশ।
মশার আস্তানায় শুরু হওয়া এ মশক নিধন অভিযান চলবে দুই মাস ব্যাপী। জেলা শহর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলবে নিভৃত্য পল্লী গ্রামেও। মশার বংশ বিস্তার রোধ করতে এবং পুলিশ হেডকোয়াটারের নির্দেশে চলছে এ অভিযান। অপরাধি ধরতে অস্ত্র নিয়ে অভিযান করার দৃশ্য সকলের পরিচিত হলেও ফগার মেশিন হাতে পুলিশের এ মশক নিধন অভিযান এই প্রথম। ফলে অনেকেই প্রথম দিকে আচমতা চমকে উঠলেও পরে জানার পর পুলিশের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মশক নিধনের এ অভিযানে স্কুল কলেজ, সরকারী বে সরকারী ভবন ও বস্তি এলাকা থেকে শুরু করে হাট বাজার গ্রাম গঞ্জ সর্বত্রই পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা। সুত্রটি দাবি করেছেন, জনবল থাকলেও ফগার মেশিন সংকট থাকায় এক সঙ্গে পুরো জেলায় করা সম্ভব হচ্ছে না। বস্তিবাসীর তুলনায় আবাসিক এলাকার লোকজন সচেতন হওয়ায় তারা পরিচ্ছন্ন থাকে। তাই পুলিশ বিভাগ বস্তি এলাকা পরিচ্ছন্ন তথা মশন নিধনে অভিযান পরিচালনা করছে। এ ছাড়াও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনা মুলক সভা সমাবেশ করছে জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য।
মশার বংশ বিস্তার রোধে জেলা ব্যাপী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু করেছে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন। এরপরও জেলা ব্যাপী চলছে ডেঙ্গু আতংক। সর্বশেষ তথ্য মতে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত জেলার ৫টি উপজেলায় মোট ২৮ জনকে ডেঙ্গু রোগী হিসেবে সনাক্ত করে স্বাস্থ্য বিভাগ। যা ক্রমেই বেড়েছে চলেছে। তবে ঢাকা থেকে ফেরত আসা লোকদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষ আসতে শুরু হলে আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাই আগাম প্রস্তুতি নিতে জেলা ব্যাপী চলছে মশক নিধন অভিযান।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. কাসেম আলী বলেন, জেলার ৫টি উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২৮ জন রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। সদর হাসপাতালসহ ৩টি হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আশংকাজনক অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, ডেঙ্গু জ¦র থেকে বাঁচতে জেলা ব্যাপী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা ও সচেতনতায় সভা সমাবেশ করে আসছে পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়াও নিভৃত্ত বস্তি এলাকায় দুইটি ফগার মেশিনে মশক নিধানে অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান চলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।