রংপুরের পীরগাছায় ভিডিএফ চাল কম দেওয়ার অভিযোগে তাম্বুলপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে চাল বিতরণের সরঞ্জমাদি ভাংচুর করেছে সুবিধাভোগী জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চাল বিতরণ বন্ধ থাকার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করেন এবং চাল বিতরনের ব্যবস্থা নেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, গত বুধবার থেকে চাল বিতরন শুরু হলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ স্লীপ ধারীদের মাঝে চাল বিতরণ চলছিল। প্রতি সুবিধাভোগীর মাঝে ১৫ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও সেখানে ওই ইউপি চেয়ারম্যান ৮ থেকে ১১ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। সুবিধাভোগীরা চাল নিয়ে বাইরে ওজন পরীক্ষা করতে গিয়ে কম দেওয়ার ঘটনাটি ধরা পড়ে। এ নিয়ে উপস্থিত কয়েক হাজার সুবিধাভোগী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং চেয়ারম্যান রওশন জামির রবু সরদারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং সঠিক ভাবে চাল বিতরনের দাবি জানান। এ সময় চেয়ারম্যানের লেলিয়ে দেয়া লোকজন সুবিধাভোগীদের চাল নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রুপ নেয়। পরে খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবার রহমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবদুল আজিজ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং চাল বিতরন শুরু করেন।
সুবিধাভোগী সোলায়মান আলী জানান, ১৫ কেজির স্থলে ৮ থেকে ১১ কেজি করে চাল বিতরণ করেন চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এতে আমরা অভিযোগ করলে চেয়ারম্যানের লোকজন জনতার উপর চড়াও হয়। ওই ইউপি বেশ কয়েক জন সদস্য অভিযোগ করে বলেন, ভিজিএফ চাল বিতরনে ওজনে কম দেওয়া নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে আমাদের মনমালিন্য হওয়ায় চেয়ারম্যান কোন সদস্যকেই না জানিয়ে দু’দিন থেকে চাল বিতরন করে আসছেন।
এ বিষয়ে তাম্বুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান রওশন জামিল রবু সরদার বলেন, ঠিক ভাবেই চাল দেওয়া হচ্ছে। কারো যদি কম হয়ে থাকে তাতে আমার করার কিছু নেই।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যান অবরুদ্ধের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি এবং অবরুদ্ধ চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে সঠিক ওজনে চাল বিতরনের নির্দেশ দেয়া হয়।