লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় কিরণ বালা বর্মনী নামে এক বৃদ্ধা মহিলাকে জমি’র জন্য মারধর করেছে তার নিজের ছোট ছেলে হেমন্ত বর্মণ। ওই মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ করায় এবং মামলার সাক্ষী হওয়ার বৃদ্ধা মহিলার মেয়ে জামাই জগদীশ চন্দ্র ও ভাতিজা বসন্ত কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ষনের চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তার ছেলের স্ত্রী। পুরো ঘটনার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন প্রতিবেশী বগুড়া আজিজুল হক কলেজের ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও গেন্দুকুড়ি মহিলা কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির রোকন।
শুক্রবার (৯ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবে এসব অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা কিরণ বালা বর্মনী।
ওই উপজেলার গেন্দুকুড়ি গ্রামের অমূল্য কুমার বর্মনের বিধবা স্ত্রী কিরণ বালা বর্মনী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩ আগষ্ট আমার ছোট ছেলে হেমন্ত বর্মন জমি দখলের চেষ্টা করেন। বাঁধা দিলে আমাকে মারধর করে ছেলে হেমন্ত বর্মন ও তার লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করান। আমাকে মারধরের ঘটনায় আমার ছেলেকে সহযোগিতার করেন গেন্দুকুড়ি মহিলা কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ সাবেক শিবির নেতা হুমায়ুন কবির রোকন। এ ঘটনায় আমি ৬ আগষ্ট বাদী হয়ে লালমনিরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলায় অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির রোকন ও ছেলে হেমন্ত বর্মনসহ ৬ জনকে আসামী করা হয়। মামলায় বৃদ্ধা কিরণ বালার মেয়ে জামাই জগদীশ চন্দ্র ও ভাতিজা বসন্ত কুমার সাক্ষী হয়েছেন। মামলা দায়েরের একদিন পর বুধবার মধ্য রাতে আমার ছেলে হেমন্ত বর্মনের স্ত্রী শৌব্বা রানী ধর্ষনের চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ তুলে মেয়ে জামাই জগদীশ চন্দ্র ও ভাতিজা বসন্ত কুমারসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ করেন।
ওই বৃদ্ধা কিরণ বালার বড় ছেলে অনন্ত কুমার বলেন, গেন্দুকুড়ি মহিলা কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ সাবেক ছাত্র শিবির নেতা হুমায়ুন কবির রোকন ওই এলাকায় আমাদের উপর দির্ঘৃদিন থেকে অত্যাচার চালাচ্ছে। আমাদের বসত বাড়ি ও জমি দখলের চেষ্টা করছেন হুমায়ুন কবির রোকন ও তার লোকজন।
তবে অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির রোকন দাবী করেন কিরণ বালা ও অনন্ত কুমারের অভিযোগ গুলো মিথ্যা-ভিত্তিহীন। ছাত্র জীবনে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত না থাকলেও এখন তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে দাবী করেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নাজির হোসেন জানান, শৌব্বা রানী নামে এক গৃহবুধকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগটি তদন্ত করে মিথ্যা মনে হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই এ ধর্ষন চেষ্টার নাটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।