বখাটেদের ক্রমাগত উত্ত্যক্ত ও মানসিক পীড়ন সইতে না পেরে চিরকুটে বখাটেদের বিচার চেয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় মাদ্রাসা ছাত্রী স্বর্ণা আক্তারের আত্মহত্যার মামলায় জড়িত সন্দেহে জুবায়ের হোসেন লিমন (২২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে শনিবার সকালে উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের গঙ্গিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে ওই ইউনিয়নের সেনের হাওলা গ্রামের ফিরোজ হাওলাদারের ছেলে।
এদিকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে জুবায়ের হোসেন লিমনকে গ্রেফতার দেখানো হলেও এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হৃদয় আকন, লিমন হাওলাদার, অন্তর মৃধা ও রাহাত জোমাদ্দার এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া লিমন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ওর বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ আছে। আমরা কল লিস্ট দেখে ওর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বাদিও আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনার পরপরই ও পালাতক ছিল। এলাকায় ঢুকলে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে ওকে ধরি। সে অজ্ঞাতনামা আসামিদের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।’
উল্লেখ্য, বখাটেদের ক্রমাগত উত্ত্যক্ত ও মানসিক পীড়ন সইতে না পেরে উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামের দশম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রী স্বর্ণা আক্তার (১৮) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এই আত্মহত্যার কারণ সে চিরকুটে লিখে গেছে। ওই চিরকুটে চার বখাটের নাম প্রকাশ করে তাদের বিচার দাবি করেছে। স্বর্ণা চিরকুটে লিখেছে, চারজনের ক্রমাগত উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছিল সে। একপর্যায় বখাটেরা তার অশ্লীল ছবি (ভিডিও) ফেসবুকে দিয়ে তার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। যার কারণে চার বখাটের বিচার চেয়ে আত্মহত্যা করে সে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার স্বর্ণার বাবা নাসির উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ৩-৪জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।