খুলনার প্রথম এবং একমাত্র প্রথমশ্রেণি পাইকগাছা পৌরসভা। পৌরসভা এলাকার মধ্যে দেড় কিলোমিটার রাস্তা ‘সওজ’ এর আওতায়। প্রায় ১০বছর সওজ এ সড়কে নজর দেয়নি। দীর্ঘ সময় নজর না দেওয়ায় দেড় কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য ছোট-বড় খানাখন্দে ভরে গেছে। ১৯৯৮সালে ১ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় শ্রেণির পাইকগাছা পৌরসভা গঠিত হয়। পর্যায় ক্রমে দ্বিতীয় এবং পরবর্তীতে অল্প সময়ের মধ্য প্রথমশ্রেণিতে রূপান্তরিত হয়। তবে পৌরবাসীর অভিযোগ এখনো সেবার মান আধুনিকায়ন করতে পারেনি পৌরকর্তৃপক্ষ। পৌর অভ্যন্তরে সওজ এর দেড় কিলোমিটার সড়ক পিচ খোয়া উঠে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিসহ ভাঙ্গাচুরা রাস্তায় ইজিবাইক, অটোরিকশা ও ভ্যানের চাকা পড়ে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তায় পানি থাকায় পৌরবাসী, পথচারী ও বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পৌয়াতে হচ্ছে।
পৌর সদরের ব্যবসায়ী শামিম হোসেন এফএনএসকে জানান, সড়কটি দেখলে মনে হয় না যে এটা একটা প্রথমশ্রেণি পৌরসভার প্রধান সড়ক। শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এমন বেহালদশা, অথচ কর্তৃপক্ষের সেটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে, আঠারমাইল-পাইকগাছা-কয়রা প্রধান সড়কটি পৌরসদর হতে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত পিচ খোয়া উঠে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত হয়েছে। দেড় কিলোমিটার সড়কে ৬০টির অধিক গর্ত। ভ্যানচালক আবদুস সালাম এফএনএসকে জানান, রাস্তার গর্তে ভ্যানের চাকা পড়ে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এফএনএসকে জানান, পরিবহণ কাউন্টার অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ায় পৌর সদরে চাপ ও জ্যাম কমছে। তবে পন্যবাহী দূরপাল্লার ভারী যানবাহন চলাচল করছে। এতে পিচ-খোয়া উঠে বর্ষায় পানি জমে রাস্তার মাটি নরম হয়ে বড়-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার গদাইপুর গ্রামের জনৈক আরিফুল ইসলাম এফএনএসকে বলেন, কয়েক বছর সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। সে সময় কাজের মান নিম্ন মানের হওয়ায় এক বছরের মধ্যে রাস্তার পিচ উঠে গর্ত হয়ে যায়। তবে জানা যায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সওজ এর মৌখিক অনুমতি নিয়ে পৌরসভার মাধ্যমে সর্বমোট ৯৪৬৪২৩.৯৬ টাকার একটি কাজের টেন্ডার সম্পন্ন করা হয়। এক বছর পর রাস্তার উপরে নিম্ন মানের পিচ ও বালি দিয়ে যেমন তেমন করে কার্পেটিং করে সমান করে দেয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি পৌর কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য কারণে কোনো প্রকার পদক্ষেপ না নিয়ে তাদের বিল পরিশোধ করে দেন। তবে কাজ শেষ হবার এক মাসের মধ্য পূর্বের ন্যায় আবার সেই খানাখন্দে পরিণত হয়।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নূর আহম্মেদ জানান, পৌরসভায় নতুন যোগদান করায় এ রাস্তা সম্পর্কে ভাল জানা নাই, তবে রাস্তাটির অবস্থা অনেক খারাপ। পৌর মেয়র মো. সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় হওয়ায় ওঁরা বিগত ১০ বছরে রাস্তায় কোনো প্রকার কাজ না করাই রাস্তাটির আজ এ অবস্থা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে পৌরসভা সওজ এর অনুমতি নিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। তবে আগামিতে পৌরসভার মাধ্যমে ওই রাস্তাটি খুব সুন্দর একটি রাস্তা হতে যাচ্ছে।