পবিত্র ঈদ উল আজহা উদযাপনের জন্য প্রস্তুুত হচ্ছে উত্তরের বিভাগীয় নগরী রংপুর। ইতোমধ্যে ঈদের জামাত আদায়ের জন্য সবধরনের প্রস্তুুতি শেষ হয়েছে। এবার রংপুর মহানগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় ঈদ-উল-আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এতে রংপুরের সিটি মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতা-কর্মীসহ প্রায় ২৫ হাজার মানুষ কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করবেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানিয়েছে, আবহাওয়া খারাপ থাকলে কালেক্টরেট ঈদগাহের পরিবর্তে কাছারি বাজার কোর্ট জামে মসজিদে সকাল ৯টায় প্রথম জামাত ও সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে রংপুর অঞ্চলের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯ টায় গঙ্গাচড়ার তালুক হাবু ঈদগাহ মাঠে। এখানে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এছাড়াও পুলিশ লাইন স্কুল এ- কলেজ মাঠ, জিলা স্কুল মাঠ, রংপুর স্টেডিয়াম, কেরামতিয়া জামে মসজিদ, আশরাফিয়া জামে মসজিদ, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল জামে মসজিদ, দক্ষিণ মুলটোল জামে মসজিদ, মুন্সিপাড়া ঈদগাহ মাঠ, আদর্শপাড়া ঈদগাহ্ মাঠ, মুলাটোল আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ, জুম্মাপাড়া মাদ্রাসা মাঠ, জিয়াতপুকুর মাজার শরীফ মসজিদ মাঠ, নগর মীরগঞ্জ ইদগ্রাহ মাঠ, সাতমাথা ঈদগ্রাহ মাঠ, মাহিগঞ্জ শাহী মসজিদ ঈদগ্রাহ মাঠসহ মহানগরীর ৭৫টিসহ রংপুরের প্রায় বারো শতাধিক ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮ টা থেকে সাড়ে ১০ টার মধ্যে ঈদের জামাতের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
ঈদের দিন সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ঈদ জামাতে বিশেষ মোনাজাত এবং হাসপাতাল, এতিমখানা, কারাগার ও শিশু সদনগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন এবং সিটি করপোরেশন এলাকার সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক লেখা পতাকা দিয়ে সজ্জিতকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে ঈদের জামাতসহ সার্বিক পরিস্থিতিতে জনমন শঙ্কামুক্ত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কয়েক স্থরের নিরাপত্তা বলয়ে কাজ করছেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রয়েছে পুলিশী টহল ব্যবস্থা।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার আবু সুফিয়ান জানান, ঈদগাহ মাঠ ও আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আনন্দ এবং উৎসবের সাথে ঈদের প্রয়োজনীয় সব আয়োজন শেষ করতে পারে।