পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে এবার মৌসুমে চামড়া ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়েছেন। তারা পানির দরে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। এতে তাদের হাজার হাজার টাকা পুঁজি হারিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে। চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মহাজনরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়েছে। চলনবিল অঞ্চলে ৩ শতাধিক মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী গত সোমবার চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া,ফরিদপুর,বড়াইগ্রাম,তাড়াশসহ অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কোরবানীর প্রতিটি গরু ও মহিষের চামড়া ৭শ থেকে ৮’শ টাকা এবং ছাগল ও ভেড়ার চামড়া ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে ক্রয় করেন। মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী চাটমোহরের আঃ করিম,মতিউর রহমান,অনিল দাস জানান,বেশি দামে বিক্রি করার জন্য চামড়া কিনেছিলাম। কিন্তু পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ীরা তাদের চামড়ার তেমন দাম বলছে না। এমনকি স্থানীয় আড়তেও চামড়ার তেমন চাহিদা নেই। ফলে তারা বাধ্য হয়ে গরু ও মহিষের চামড়া ৭শ থেকে সাড়ে ৭’শ টাকা এবং ছাগল ও ভেড়ার চামড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এতে তাদের পশু প্রতি সর্বোচ্চ ১শ’ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। চাটমোহরের রেলবাজার এলাকার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী আজিজল বিশ^াস জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর অর্ধেকেরও বেশি কম দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। ফরিয়াদের নিকট থেকে গড়ে প্রতি পিস গরুর চামড়া ৭শ টাকায়,খাসির চামড়া ৫০ টাকায় এবং ভেড়ার চামড়া ৩০ টাকা কিনতে পেরেছেন তিনি। একই এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী আসাব আলী জানান,পুজি সংকটের কারণে এবং চামড়ার বাজার ভাল না হওয়ায় এবার অনেক মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী চামড়া না কেনায় গত বছরের চেয়ে অর্ধেক দামে চামড়া বিক্রি হয়। এবার চলনবিল অঞ্চলের উপজেলায় চামড়া বাজারে ধস নামে।