সাপাহারে ঈদের দিনে পানিতে ডুবে শিশু ও মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক সহ দু’জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঈদের নামাজের সময় খাড়ির পানিতে ডুবে কনক (৫) নামের এক অবুঝ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত কনক উপজেলার ময়না কুড়ি গ্রামের ট্রলি চালক আব্দুর রশিদ এর মেয়ে। ঈদের নামাজের সময় গ্রামের লোকজন ঈদগাহে নামাজ পড়তে গেলে অবুঝ শিশু কনক গ্রামের অন্যান্য ছেলে মেয়েদের সাথে গ্রামের পাশের খাড়ির কসডেম (স্লইজগেট) এর উপর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিল। এসময় হঠাৎ কনকের পা পিছলে খাড়ির মধ্য পড়ে গেলে সাথের ছেলে মেয়েরা বাড়িতে এসে সংবাদ দেয়। তড়িঘড়ি করে বাড়িতে থাকা মহিলারা ঘটনা স্থলে গিয়ে পানিতে ভেসে থাকা অবুঝ শিশুর উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
অপর দিকে ঈদের দিন সন্ধ্যায় রুবেল (২২) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থী তার মোটর বাইকটি নিয়ে সাপাহার উপজেলা সদর হতে বাসায় ফিরছিল। পথে উপজেলার জবই বিলের উপর নির্মিত ব্রীজ পার হয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এসময় তার মোটর বাইকে থাকা তার বন্ধু সোহেল রানাও (২১) মারাতœক আহত হয়। বাসায় ঈদের আনন্দ ম্লান করে রাতেই তাদের লোকজন তাদেরকে নিয়ে রাজশাহী মেটিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে পর দিন মঙ্গলবার সকালে রুবেল এর মৃত্যু হয়। নিহত রুবেল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষাথী ও উপজেলার মুংরইল গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে এবং তার বন্ধু সোহেল রানা একই গ্রামের ফইমুদ্দীনের ছেলে। সোহেল রানা বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কোরবানীর ঈদের দিন উপজেলার দু’টি পরিবারের দু’জন সদস্য অনাকাঙ্খিতভাবে মৃত্যু বরণ করায় পরিবার দু’টির ঈদ আনন্দ ম্লান সহ এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।