একটি গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রহমত আলী(৩০) নামে এক প্রতারক চক্রের প্রধানকে আটক করেছে পোরশা থানা পুলিশ। রহমত উপজেলার সরাইগাছি গ্রামের কামারুজ্জামানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার নামে চেক ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানাগেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ রহমতকে বুধবার সরাইগাছি তার বাড়ি থেকে আটক করে। থানা সূত্রে জানাগেছে, প্রতারক চক্রটি দির্ঘ্যদিন থেকে সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার নাম করে রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন লোকের সাথে প্রতারনা করে বিপুল পরিমানে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আর এ চক্রটির প্রধান হচ্ছেন রহমত আলী। সে একসময় যশোর মিলিটারী ফার্মে ক্লিনার পদে চাকুরী করতো। এ সুবাধে রহমত বিভিন্ন সময় নিজকে আর্মি কর্মকর্তা কখনও আর্মি অফিসারের রানার পরিচয় দিত। তাছাড়া চাকুরী প্রার্থীদের রাজধানী ঢাকার মিরপুর ৩৩/২/এ পিরেরবাগ এলাকায় হেল্থ কেয়ার ডায়াগনিস্টিক এ- কনসালটেশন সেন্টার নামে এক হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও তারা করাতো। এভাবেই রহমত মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছিল। সর্বশেষ সাপাহার উপজেলার এক ব্যাক্তিকে আর্মিতে চাকুরী দেওয়ার নামে রহমত তার কাছে থেকে কয়েক লক্ষ টাকা এবং একটি ব্লাংক চেক হাতিয়ে নেয়। কিন্তু চাকুরী দিতে না পারায় জনৈক ওই ব্যাক্তির অভিযোগ ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। পরে পোরশা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পোরশা থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ শাহিনুর রহমান ও সাপাহার থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ আবদুল হাই জানান, এ বিষয়ে পোরশা ও সাপাহার থানায় মামলা হয়েছে এবং তাকে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। রহমত আলীকে আটকের পরে তার কাছে একাধিক ব্লাংক চেক পাওয়াগেছে এবং তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান।