কাঁদা নর্দমা যাতায়াতের অনুপোযোগী কাঁচা রাস্তাটি পাকা করণের দাবীতে গত ১৬ আগস্ট পথচারী ও এলাকাবাসিগণ রাস্তায় ধানের চাড়া রোপন করে রাস্তা পাকা করণের দাবী জানান। নীলফামারী সদর লক্ষীচাপ ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা গ্রাম হতে ঐতিহ্যবাহী রামগঞ্জ হাট গ্রামীণ ব্যাংক মোড় পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটির দীর্ঘদিন থেকে বেহাল দশা বিরাজ করছে। রাস্তার এ বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিন থেকে চলে আসলেও যেন দেখার কেউ নেই। ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের একমাত্র যাতায়াতের এ রাস্তাটি। ভরা বর্ষায় বর্তমানে কাদা পানিতে একাকার হয়ে গেছে রাস্তাটি। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী যাতায়াত করে থাকেন এ রাস্তা দিয়ে। সহদেব বড়গাছা, নৃসিংহ, কচুয়া,দাঁড়িহারা, অচিনতলা, চৌরঙ্গী গ্রামসহ অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, জীবন জীবিকার তাগিদে নীলফামারী জেলা শহরে প্রতিদিন যাতায়াতের ভরসা এ কাঁচা রাস্তাটি, সাধারণ মানুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াত এবং ব্যবসায়ীদের মালামাল ও ভারী যানবাহনের জন্য রাস্তাটি যেন মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষায় কাদা পানি আর গ্রীষ্মের সময় ধূলা বালি নোংরা আবর্জনা খানাখন্দে পথচারীরা দূর্ভোগে যাতায়াত করেন। চৌরঙ্গী স্কুল এ- কলেজ, রামগঞ্জ স্কুল এ- কলেজ, দুবাছুরি মাদ্রাসা, রামগঞ্জ হাটে কৃষিপণ্য, শাকসবজী ও ধান-চালের আমদানি রপ্তানির ভরসাই এ রাস্তাটি। পথচারী মিলন মিয়া, রাকিবুল ইসলাম, সানোয়ার হোসেন বলেন, আমরা অনেক কষ্ট ও ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকি, প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পথচারীরা। লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাটি পাকা করনের জন্য চেষ্টা চলছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা জরুরী চেষ্টা করব চলতি বছরে রাস্তাটি পাকা করার জন্য। এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন বলেন আমার রাস্তাটি সম্পর্কে জানা নেই, আমি জেনে শুনে ব্যবস্থা নিব।