কলমাকান্দায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত সুফিয়া খাতুন (৪০) নামের এক নারী মারা গেছেন। নিহত সুফিয়া উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কুট্টাকান্দা গ্রামের দোকানি শাহজাহানের স্ত্রী। পুলিশ এ ঘটনায় একই এলাকার মো.সুবেদ আলী'র স্ত্রী মোছাঃ জহুরা খাতুন (৩৮) ও ছেলে নাজিম উদ্দীন (২১) নামে দুজনকে আটক করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কুট্টাকান্দা গ্রামের পূর্বপাড়ার শরাফত আলী ((১৯) একই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মো. ফজলুল হক (২০) সাথে ওই গ্রামের সড়কে দেখা হলে কুশল বিনিময়ে হ্যান্ডশেফ করার সময় জোরে চাপ দেয় শরাফত। ওই সময় এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ওই সময় স্থানীয়রা উভয়কে চড় থাপ্পড় দিয়ে শান্ত করে যার যার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
ওই দিন এশার নামাজের পর শরাফত আলী সহ লোকজন একপর্যায়ে ফজলুল হকের চাচা শাহজাহানের মুদির দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় সুফিয়া খাতুন ও রুমা আক্তার নামে গুরুত্বর দুই নারী আহত হয়ে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে শুক্রবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুফিয়া। সুফিয়া খাতুনের মৃত্যুর খবরটি সত্যতা নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: আশেক উল্লাহ খান।
কলমাকান্দা থানার ওসি মো. মাজহারুল করিম সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিনিধিকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শাহজাহানের মুদির দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় সুফিয়া নামে গুরুত্বর এক নারী আহত হয়ে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। গত শুক্রবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহতের মরদেহ বিকালে সুরতাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী মোঃ শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোছাঃ জহুরা খাতুন ও নাজিম উদ্দীন নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে গতকাল শনিবার সকালে নেত্রকোণা জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।