চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্ল¬ী বিদ্যুৎ সমিতি ভোলাহাট সাব-জোনাল অফিসে পূর্বের দূর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানী কমে যাওয়ায় শান্তি ফিরে পেয়েছেন গ্রাহকেরা। পল্লী বিদ্যুতের ভয়ংকর অফিসটি ভরে গেছে ভালোবাসায়। একসময় গ্রাহক সেবা তো দূরের কথা মামলা হামলার শিকার হয়েছেন অনেক গ্রাহক এ অফিসেই। সে সময় সেবা না দিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকির মুখে ফেলে গ্রাহক সেবা থেবে বঞ্চিত করে রেখেছিল বছরখানেক আগে পল্লী বিদ্যুৎ ভোলাহাট সাব-জোনাল অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। গ্রাহক সেবা নিতে গিয়ে অফিসের ভিতর সেবার পরির্বতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাড়ী ফেরার নজিরও আছে। কিন্তু বর্তমান ভোলাহাট সাব-জোনাল অফিসের সহকারী ম্যানেজার(ওএন্ডএম) রুহুল আমিন গত বছরের আগস্ট মাসে যোগদানের পর গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধিসহ কর্মচারীদের সাথে নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যহত রেখেছেন। সাধারণ ও ক্ষমতাবান গ্রাহক বলে তার কাছে কোন ভেদাভেদ নাই। যে কোন পেশাজীবি বিদ্যুৎ গ্রাহক সরাসরি তার অফিস কক্ষে গিয়ে যে কোন বিষয়ের সেবা গ্রহণ করে থাকেন। তিনি আবাসীক ৩২হাজার ৯২৮জন ও বাণিজ্যিক ২ হাজার ৩০৩জনসহ অন্যন্যা দিয়ে মোট ৩৬ হাজার ৫০৩জন গ্রাহকের উন্নত সেবা প্রদানে র্সাবক্ষণিক প্রস্তুত থাকেন। ভোলাহাট সাব-জোনাল অফিসের আওতায় ৩৬ হাজার ৫০৩জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করতে তিনি আলোর ফেরিওয়ালার মাধ্যমে দ্রুত কয়েক ঘন্টার মধ্যে গ্রাহকের সংযোগ প্রদান করে থাকেন। গ্রাহকদের মধ্যে বিদ্যুৎ লোড শেডিং নিয়ে হাহাকার নাই। নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে র্সাবক্ষণিক প্রস্তুত থাকেন। কোন কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ হলে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের মোবাইলে বিদ্যুৎ বন্ধের কারণ ক্ষুদে বার্তায় পৌছে দেন। তিনি বিদ্যুৎ গ্রহকদের সমস্যার কথা শুনে সমস্যার সমাধান করতে উপজেলার গুরুত্ব পূর্ণ জায়গায় দফায় দফায় উন্মুক্ত গণশুনানী করে গ্রাহকদের সমস্যা জেনে সেখানেই সমস্যার সমাধান করেছেন। তিনি গত বছরের আগস্ট মাসে যোগদানের পর পূর্বের সব অনিয়ম দূনীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গ্রহকদের যর্থাথ সেবাদান কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন। বর্তমান এজিএম মোঃ রুহুল আমিন যোগদানের পরই বদলে গেছে এ দপ্তরটি। জেলা পরিষদ সদস্য পিয়ার জাহান ও ভোলাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াজদানী জর্জ পল্লী বিদ্যুতের হয়রানীমুক্ত ও সেবার মান উন্নয়নে এজিএম মোঃ রুহুল আমিনকে ধন্যবাদ জানান। এদিকে একাধিক গ্রাহকের সাথে কথা বললে তারা বর্তমান বিদ্যুৎ সেবা নিয়ে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন পল্লী বিদ্যুৎ যে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান তা প্রমাণ করেছেন বর্তমান এজিএম। এক আলাপচারিতায় এজিএম মোঃ রুহুল আমিন জানালেন প্রত্যন্ত এই জনপদের জনগণ অত্যন্ত সহজ-সরল তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। তিনি জানান, ভোলাহাট প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘেœর সৃষ্টি না হয় বাপবিবো আর জিএম প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলামের প্রচেষ্টায় ভোলাহাট উপকেন্দ্রের সক্ষমতা দ্বিগুন (১০এমভিএ থেকে ২০এমভিএ) করা হয়েছে। লো ভোল্টেজ সমস্যা দূরীকরনের জন্য দূরবর্তী নিয়ামতপুর গ্রীড বাদ দিয়ে নিকটবর্তী আমনুরা গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ নেয়া হচ্ছে। ভোলাহাট উপকেন্দ্রে নতুন ভোল্টেজ রেগুলেটর স্থাপন করাসহ দীর্ঘদিন অকেজ থাকা ভোল্টেজ রেগুলেটরও সচল করা হয়েছে। ফলে এ এলাকার প্রায় ৩৩হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক মান সম্পন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেন। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে পৃথক লাইন (ফিডার) চালু করা হয়েছে। তিনি যোগদানের পরই এক অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার ঘরে নিজ ব্যয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। সব ধরনের মানুষ তার কাছে যে কোন সমস্যার কথা সহজেই জানাতে পারেন এবং সমাধানও পান দ্রুততার সাথে।এদিকে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রুহুল আমিন জানান, গ্রাহক সেবা আরো দ্রুততার সাথে দেয়ার জন্য বিদ্যুৎ উপকরণ বহনের জন্য একটি পরিবহন প্রয়োজন। পরিবহনের জন্য চাহিদা দেয়া হয়েছে। পরিবহনটি যত দ্রুত পাওয়া যাবে তত দ্রুত বিদ্যুৎ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। তিনি দালালদের আশ্রয় না নিয়ে সকল গ্রাহকদের সরাসরি অফিসে এসে বিদ্যুৎ বিষয়ে যে কোন সেবা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন। বর্তমানে প্রত্যন্ত এ এলাকার শুধু আঁধারই দূর হয়নি, বিদ্যুৎ অফিস সম্পর্কে জনমনে যে আঁধার ছিল, তাও এখন আর নেই। গ্রাহকেরা এখন বিদ্যুৎ নিয়ে ভালো পরিবেবেশের মধ্যে দিন কাচ্ছেন এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভোলাহাট পল্ল¬ী বিদ্যুৎ বিভাগকে এলাকাবাসি।