কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের শ্যামপুর পাড়া গ্রামে শরিফ মিয়া (৩৫) ও ফুরকান মিয়া (২৮) খুন হয়। পুলিশ গতকাল রবিবার ভোররাতে সন্দেহ জনকভাবে ৩ জনকে আটক করেছে।আটককৃতরা হলেন,মুন্সিপাড়া গ্রামের ইজু মিয়ার স্ত্রী হামিদা খাতুন(৫০),মাইনুল্লার ছেলে ফোহাদ মিয়া(৩৫)ও ইজু মিয়া (৬০)।এলাকার একদল দুবৃত্তরা মুন্সিপাড়া গ্রামের ২০টি পরিবারের বাড়ী ঘর ভাংচুর, গরু লুট, ধানের জাবার থেকে প্রায় ২ হাজার মন ধান লুট ও ১০ থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণা লংকার নিয়ে গেছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এই ২০টি পরিবারের প্রায় কয়েকশ লোক বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েক কোটি টাকা হবে বলে গ্রামবাসীদের ধারনা। শরিফ ও ফুরকান হত্যা কান্ডের ঘটনা দেখার জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মাসরুকুর রহমান খালেদ, বাজিতপুর থানার ইনর্চাজ মোঃ খলিলুর রহমান পাটোয়ারি ও একই থানার তদন্ত ওসি ও হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মোঃ সারোয়ার জাহান ঘটনা স্থল পরিদশন করেন গত কাল দুপুরে। জানা যায়, এলাকায় গত কয়েক বছর আগে ইউপি নির্বাচন ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ফারুক গংদের সঙ্গে একই এলাকার মেম্বার আবু বাক্কার প্রতিবাদ করে আসছিল। এরই জের হিসাবে ফারুক মিয়া ও তাঁর লোকজন একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন সকালে আবু বাক্কারের লোকজনের উপর অর্তকিত ভাবে গুলি বিনিময় করলে শরিফ মিয়া ও ফুরকান মিয়া ঘটনার স্থলে নিহত হন। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।