আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ ৩০ জনেরও বেশী আহত হয়েছে। ১৮ আগস্ট রোববার বেলা দেড়টার দিকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে ঐ সংঘর্ষ চলে।
আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১৭ জন গুলিবিদ্ধ হলেও ১৩ জনকে তাৎক্ষনিকভাবে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল এবং খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঈশ^রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শোকর আলী এবং সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকৃত (উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান) সাদেকুর রহমান সাদেমের সমর্থকদের মধ্যে ঐ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বেলা দেড়টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলা ঐ সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের প্রায় ৩০ জনেরও বেশী অহত হয়।
আহতদের মধ্যে আফছার আলী, আঃ সালাম, মোঃ আলম, আবু সাইদ, নুর মোহাম্মদ, আঃ বারেক, আওছাফুর রহমান, সফিকুল এবং শাহআলমকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে সত্তোরোর্ধ্ব বয়সী নারী আয়েশা, ১০ বছরের আবজাল হোসেন এবং আকলিমা (১৮) ও ফতেমা বেগমসহ গুলিবিদ্ধ বেশ কয়েক নারী পুরুষ ও শিশুকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পুলিশি হয়রানী এড়াতে তারা আহতদের হাসপাতালে নিচ্ছেন না।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীসহ স্থানীয়রা জানায় বেলা সাড়ে দশটার দিকে শোকর আলী গ্রুপের আলিম প্রতিপক্ষ সাদেম গ্রুপের মুজিবর রহমানকে মারধর করে। মটর সাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে ঐ মারধরের পর দুই পক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হতে থাকে এবং বেলা দেড়টার দিকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় শোকর আলী ও মোস্তফার নেতৃত্বে রামদাসহ দেশীয় নানা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শোকর আলীর সমর্থকরা সাদেম সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা করে বলে দাবি করেন বৃদ্ধা আয়েশা, আশরাফ আলীসহ সাদেম সমর্থকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় নারী ও শিশুরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সংঘর্ষ দেখার সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে তারা অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়।
তবে শোকর আলী সমর্থকদের দাবি বিনা উস্কানিতে তাদের লোকদের উপর হামলা করে সাদেম সমর্থকরা।
শ্যামনগর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোল্যা আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ শর্ট গানের গুলি চালায়। পরিস্থিতি বিকালের মধ্যে নিয়ন্ত্রনে চলে আসে।