বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক কলেজছাত্রীকে অপহরনের চেষ্টা ও এক শিশুর শরীরে গরম পানি দিয়ে ঝলসে দেওয়ার অপরাধে এক ইউপ মেম্বারসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে জিউধরা ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়েক(১৬) অপহরণের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনা ৫ জনকে আসামি করে আজ সোমবার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ এ মামলার আসামি জিউধরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার সোমাদ্দারখালী গ্রামের ছায়েদুল ইসলাম খান, সোমনাতলা গ্রামের মন্টু মৃধা(৪৮) ও তার ছেলে সাইফুল মৃধাকে(২৫) গ্রেফতার করেছে। গরম পানিতে পুড়ে আহত শিশুটিকে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেয়েটির পিতা হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘আমার মেয়ে সবেমাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছে। প্রতিবেশী বখাটে যুবক সাইফুল তাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করেছে। রবিবার রাতে ইউপি সদস্য ছায়েদুলসহ ১০/১২জনের একটি বাহিনী আমার মেয়েক বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা গরম পানি ছুড়ে মারলে আমার নাতি জুনায়েদ(২) এর পিঠে লেগে গুরুতর আহত হয়’।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম মৃধা ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃত ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হলে, রোববার বিকেলে ইউপি সদস্য সাইদুল খানসহ বখাটে সাইফুলের লোকজন ওই কিশোরীকে জোর পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করতে চায়। এ সময় কিশোরীর পরিবার বাঁধা দিলে তাদের উপর চড়াও হয় এবং হামলা করে। হামলাকারীদের ছোঁড়া গরম পানিতে ওই বাড়ির ওই বাড়ির ২২ মাস বয়সী শিশু জোনায়েদ আহত হয়। শিশুটিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ওই কিশোরীর মাতা বাদী পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, কলেজছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে এমন অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার ৩ আসামিকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।