লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলাতে ঈঁদকে পুজি করে সৃষ্ট পরিবাহন নৈরাজ্য অব্যাহত রয়েছে। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে দুই পরিবহনে জরিমানা করলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন কর্মস্থলে পৌছানো যাত্রীকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পরিবহন মালিকেরা।
সুত্রে জানায়,পবিত্র ইদুল আযার পর থেকে রামগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী আল বারাকা,হিমাচল,হিমালয় পরিবহন নন এসি ৩০০ টাকার স্থলে ৫৫০ টাকা,এসি ৫০০ টাকার স্থলে ৭০০ টাকা করে আদায় করছে। শুধু তাই নয় রামগঞ্জ থেকে চাঁদপুর গামী প্রত্যেকটি সিএনজি যাত্রীদের কাছ থেকে ১২০ টাকার স্থলে ২০০/২৫০ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ এবং ৯৯৯ নাম্বার থেকে আসা তথ্যের ভিত্তিতে ১৮ আগস্ট বিকেলে ইউএনও মোসাম্মদ মুনতাসির জাহান ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সত্যতা পেয়ে দুইটি পরিবহন কাউন্টারে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সর্তক করে দেয়। বাসস্ট্যান্ডের কয়েকজন ব্যবসায়ীরা বলেন,ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউন্টার ত্যাগ করার পুরেই আবার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু করে। আল বারাকা পরিবহনের রামগঞ্জ কাউন্টার ম্যানেজার মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন,ইউএনও প্রশাসনের কাজ করেছে,আমরা আমাদের কাছ করছি। ঢাকার থেকে কোন যাত্রী না আসা খালি গাড়ী নিয়ে আসতে হচ্ছে, এই জন্যে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। দুই/এক পরেই আগের মতোই ভাড়া নেওয়া হবে। ইউএনও মোসাম্মদ মুনতাসির জাহান বলেন,ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও সকর্ত করার পরও কাউন্টারের লোকজন অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া অব্যাহত রেখেছে,সেহেতু দ্বিতীয় বার অভিযান পরিচালনা করে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।