১৮ আগস্ট রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগে অর্ধসহ¯্রাধীক রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। ৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে ভোলাহাট উপজেলা। ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের বহিঃবিভাগে রোগীর আগমনে কোথাও কোন তিলধারনের ঠাঁই নাই। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় -অনেকেই নাকি এত রোগী কোনদিন এই হাসপাতালে দেখেননি। মুসলিম উদ্দিন নামে এক রোগী বলেন -হামি মুসরীভুজা থেকে অ্যাইসসি ১ ঘন্টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।দুদিন থাইক্যা ম্যালাই কাশি হইছে। কখন যে সিরিয়াল পাবো!! তিনি আরো বলেন, হামি মাঝেমইধ্যে হাসপাতালে আসি কিন্তু কুনুদিন এত রুগি দেখিনি। এইরকম অনেক রোগীর কাছেই এমন কথা শোনা গেলো। এখানে জরুরী বিভাগ ছাড়াও চারটি কক্ষে আগত নারী পুরুষ, শিশু বৃদ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যস্ত ছিলেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহবুব হাসান, মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ এ বি এম ফেরদৌস রহমান। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ মেশবাউল হক, ডাঃ মোঃ শামীম হোসেন, ডাঃ আমিনুল ইসলাম, ডাঃ আয়েশা সিদ্দিকা। এ সময় আগত রোগীদের চাপ সামলাতে হাসপাতালের কর্মচারীদের হিমশিম খেতে দেখা যায়। প্রায় ১০ বছর যাবৎ কর্মরত ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন-আমার এতদিনের চাকুরী জীবনে এই হাসপাতালে এত রোগী কখনো দেখিনি, কয়েকদিন থেকেই হাসপাতালে রোগীর চাপ একটু বেশি। একথা প্রায় সকল চিকিৎসকই বলেন। বেলা ২.৫০ মিনিটে গিয়েও দেখা গেছে ডাঃ এ বি এম ফেরদৌস রহমান তখনও রোগী দেখছেন। এদিকে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহবুব হাসান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- হঠাৎ কয়েক দিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারনেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কারণ প্রচন্ড গরম ও হঠাৎ বৃষ্টির প্রভাব এলাকার মানুষদের কাছে অসহনীয় হয়ে ওঠেছে। তবে এখানে ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, জ¦রসহ আরো নানা সমস্যা নিয়ে প্রায় অর্ধসহ¯্রাধীক দিতে হচ্ছে চিকিৎসা। হাসপাতালে বেশ কিছু জনবল সংকট আছে, জনবল সংকট কাটলেই অত্র এলাকার সর্বসাধারণকে আমরা আরো ভালো স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে পারবো বলে জানান স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা বলেন। এদিকে রাত ১০ টার দিকে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে ৪১ জন রোগী ভর্তি আছে।