খুলনার সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ কয়রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/১ ও ১৩-১৪/২ পোল্ডারের ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামতে নয়া উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিগত ৬০ এর দশকে নির্মিত এ সকল বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ক্ষয়ে গিয়ে চিকন ও দুর্বল হয়ে গেছে। যে কারণে সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের সৃষ্টি হলে এখানকার লাখ লাখ মানুষের জীবনে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। পাউবো সুত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর আগে ১৩-১৪/১ আংটিহারা পোল্ডারের ২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য কারিগরি সমীক্ষা চালানো হয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সিআইপি পুরো পোল্ডার পরিদর্শন করে বাঁধ মেরামতে উদ্যোগ গ্রহন করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি প্রস্তাব প্রেরন করে। কিন্তু নদী শাসন কার্যক্রম প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত না থাকায় প্রস্তাবটি গুরুত্ব পায়নি। এদিকে চলতি বছরের প্রথমে জাতীয় সংসদে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু কয়রা ও পাইকগাছা এলাকার নাজুক বেড়িবাঁধ সংস্কারের ওপর জোরালো বক্তব্য দেন। তিনি কয়রার বেড়িবাধ সংস্কারের জন্য আপ্রান চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের পর পাউবো কর্মকর্তারা কয়রার ২টি পোল্ডারের বেড়িবাঁধ সংস্কারে বেশ উদ্যোগী হয়েছেন। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে পাউবো কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত জোড়শিং, আংটিহারা, গোবরা, ঘাটাখালি, হরিনখোলা শাকবাড়িয়া, গাববুনিয়া, দশালিয়া বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে দ্রুত বাঁধ মেরামতের আশ্বাস প্রদান করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত ঘাটাখালি, গাববুনি ও শাকবাড়িয়া বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে জরুরী ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা করেন। পাউবোর সেকশন কর্মকর্তা মশিউল আবেদীন বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৩-১৪/১ ও ১৩-১৪-২ পোল্ডারের ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ নতুন ভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাউবোর সাতক্ষীরা-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কয়রার ৬ টি পয়েন্টে ঠিকাদার নিযুক্ত করে বেড়িবাঁধ মেরামত করার কাজ চলছে। তবে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানে নতুন প্রস্তাবনা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রেরন করা হয়েছে। এ প্রস্তাবের অনুমোদন মিললে নুতন মডেলে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানান।