এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য কলেজ ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করার মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাবাসের পর জামিনে বেরিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদি ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আসামি বিএনপি নেতা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির সহযোগিতায় এ হুমকি অব্যাহত রেখেছে। উল্টো নাটকীয়ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে মামলা প্রত্যাহারের দাবিও করেছেন আসামিরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী পৌর এলাকার পশ্চিম আশোকাঠী মহল্লার।
ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মোঃ স্বপন ফকির অভিযোগ করেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য স্থানীয় বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগি একই এলাকার ছাত্রদল ক্যাডার মারুফ সরদার ও তার সহযোগিরা গত ৯ আগস্ট দুপুরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার (স্বপন) পুত্র সরকারী গৌরনদী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র অপু ফকিরের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে তিনিসহ তার স্ত্রী নাজমিন আক্তার, ভাইয়ের ছেলে হাসান ফকির এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা অপু ফকিরকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় নাজমিন আক্তার বাদি হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাৎক্ষনিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি আবদুর রব সরদারকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে মামলার বাদি নাজমিন আক্তার বলেন, অতিসম্প্রতি আবদুর রব সরদার কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির মদদে মামলা উত্তোলনের জন্য আমাকে ও পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। এছাড়াও নিজেদের অপর্কম আড়াল করতে সোমবার সকালে স্থানীয় রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে থানা পুলিশ ও আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার বক্তব্য দিয়ে আবদুর রব সরদার মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।
এ ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার ওসি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ সত্য নয়। নাজমিন আক্তারের মামলার ভিত্তিতে আবদুর রব সরদারকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।