বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে রয়েছে আম। আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অন্যতম উপজেলা ভোলাহাট। দেশ আজ উন্নয়ন মহাসড়কে, কিন্তু বরাবরই এই উপজেলাটির উন্নয়ন অগ্রগমন ঠিক যেন কচ্ছপের গতি। তারই কিছুটা লক্ষ করা যায় অত্র উপজেলার প্রধান সড়কে। ভোলাহাট উপজেলার পাকা সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৫ কি:মি:।
ভোলাহাট টু রহনপুর সড়কে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মানুষের যাতায়াত ঘটে। কিন্তু অত্র সড়ক টি সরোজমিনে পরিদর্শন করলে দেখা যায়, রাস্তার দুর্বিষহ চিত্র। একে তো সরু রাস্তা, অন্যদিকে খানাখন্দে ভরা। ফলে যাত্রীদের ঘটে যাতায়াত বিড়ম্বনা। রাস্তার পাশে ডোবা নালা থাকাই, বর্ষা আসলেই পাশের মাটি সরে তৈরি হয় বড় বড় খাদ। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন জায়গার রাস্তায় হাঁটু সমান পানি জমে থাকে।
এতে সড়কটির প্রধান যানবাহন ইজিবাইক চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়, ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। রাস্তার এইসব খানাখন্দ সাময়িকভাবে মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষ ইট দিয়ে ভরাট এর ব্যবস্থা করলেও ভোগান্তি আরো বেড়েছে। ভাঙ্গা রাস্তার কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে সব ধরনের যানবাহন।
সরু রাস্তার কারণে, আম মৌসুমে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করলে অন্য কোন যানবাহনের নিরবিচ্ছিন্নভাবে যাতায়াতের সুযোগ থাকে না। আবার দুটি যানবাহনের রাস্তা ক্রস করতেও অনেক সময় ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।
উপজেলার প্রাণকেন্দ্র কলেজ মোড়ের রাস্তা সম্প্রসারণ না করেই তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে অনুচ্চ "মুজিব চত্বর"। ফলে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো জনপ্রিয় আম বাজার ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশনের দিকে যেতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হয়। আর ছোটখাটো যানজটেরও সৃষ্টি হয়। আবার পাশেই অবস্থিত ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়ে ভোগান্তিতে।
এ অবস্থায়, উপজেলার অন্যতম প্রধান ব্যস্ত এই সড়কটির মেরামতের পাশাপাশি সম্প্রসারন মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের বৃহত্তম নতুন বাজেটে এই সড়টির সম্প্রসারণ ভোলাহাট বাসীর প্রাণের দাবী।