মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে ড্রেজিংয়ের কারণে ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। ৫ টি 'কে 'টাইপ ও মাঝারী- ফেরি দিয়ে হালকা যানবাহন পারাপার সম্ভব হচ্ছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি'র কর্তৃপক্ষ। গেল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টা দিকে পদ্মার লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করা হয় গত সপ্তাহ থেকে।
যা এখনো চলমান।
মাওয়া বিআইডব্লিউটিসি'র ব্যবস্থাপক বানিজ্য (ম্যানেজার) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, গত কহেক দিনধরে পানির ¯্রত ও ডুবুচর সংকটের কারণে লৌহজং চ্যানেলটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ফেরি চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি হয়।
তাছাড়া পদ্মা সেতুর কাজ সহ সবচেয়ে ভাড়ি চার হাজার টন ক্ষমতার ক্রেন রাখার আশপাশ দিয়ে। সেতুর এ্যাপ্রোজ রোড ও তীর রক্ষা বাঁধ, নদী শাসনসহ এলাকা সব কাজে ধীরগতি দেখাচ্ছে। এতে পদ্মা সেতুকে দৃশ্যমান করতে কিছু টা হুমকির মুখে পড়তে হতে পাড়ে।
তিনি কর্তৃপক্ষর নজর দানী করে বলেন।
একই চ্যনেলের ফেরি চলাচলের এ রুট টি দ্রুত লৌহজং পয়েন্টে ড্রেজিংয়ের কারণে, রাত থেকে রো রো ও টানা ফেরি বন্ধ থাকে সকাল পর্যন্ত প্রায় দিন।
যানবাহন পারাপার হচ্ছে কিশোরী, কেতকী, ক্যামেলিয়া, ফরিদুর ও কুমিল্লা নামের ৫ টি কে টাইপ ফেরি দিয়ে। এসকল ফেরি দিয়ে ছোট ও হালকা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে খুব দ্রুতই সম্পূর্ণ ড্রেজিং করে সচল না কারা হলে ফেরি চলাচল বন্ধ হতেপাড়ে।
এদিকে
ঈদের ছুটি শেষে মানুষের ঢল-অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলছে বাসগুলো ঢাকা মুখী
শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে।
সড়ক ও নৌপথে চরম দুর্ভোগে পড়েন কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা
ঈদের শেষে ভারি বর্ষন আর প্রবল ঝড় ¯্রত উত্তাল পদ্মা কে ওপেক্ষা না করে,দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের২৩ জেলার ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে আজ ফের ঢাকা মুখী শিমুলিয়া ঘাটে। নিজ কর্মেরটানে শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ছুটে চলছেন নিজ গন্তব্যে। আজ শুত্রবার সকাল থেকে দিনভর এসব ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকবে অন্যদিকে সকাল থেকে শিমুলিয়া- কাঠালবাড়ী ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে লঞ্চ, ট্রলারও স্পীডবোটসহ প্রতিটি নৌযানে ছিল যাত্রীদের আগে নামার প্রতিযোগীতা শিমুলিয়া ঘাটে। এ সময় বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি নৌরুটের পদ্মা পাড়ি দিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ঢাকাগামী বিপুল সংখ্যক যাত্রী। ফলে শিমুলিয়া ঘাটে দীর্ঘ জনজটের সৃষ্টি হলে চরম দুর্ভোগের স্বীকার হন যাত্রীরা। শিমুলিয়া কাঠালবাড়ী নৌরুটের ফেরী ও লঞ্চে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। বিআইডব্লিউটিসির মেরিন কর্মকর্তা আহম্মেদআলী জানান, শিমুলিয়া কাঠালবাড়ী ঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন ফেরি দিয়ে পারাপার করছি। রো-রো ও -কে টাইপ ফেরি চলাচল করছে সিমিত। নদীতে অনেক রুলিং (ছোট ছোট ঢেউ) আছে। তাই ফ্ল্যাট, মাঝারি ও ছোট ফেরি চলাচলও রয়েছে। দু’পারে পারে আটকা পড়েছে দীর্ঘ ছোট-বড় ৭শতাধিক গাড়ীর লাইন একই চিত্র ঢাকা মাওয়া মহাসড়কের প্রতিটি বাস পরিবহন গুলোতে।এতে করে নৌ ও সড়কপথে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অভারলোডিং যান চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিমুলিয়া- কাঠালবাড়ী ও শিমুলিয়া মাঝিকান্দি নৌপথে লঞ্চ, ট্রলার ও স্পীডবোটসহ প্রতিটি নৌযানে ছিল উপচে পড়া ভীড়।ঝুঁকিপূর্ণভাবে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে মাদারীপুরের কাঠালবাড়ী শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি থেকে শিমুলিয়া-(মাওয়ার) দিকে ছেড়ে আসছিল প্রতিটি নৌযান। নৌরুটের কাঠালবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ডাম্পু ,ফ্লাটসহ প্রতিটি ফেরীতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে। পদ্মা পাড়ি দিয়ে আসা হাজার-হাজার যাত্রীর চাপে ঘাট টার্মিনালে তীব্র জনজটের সৃষ্টি হয়।
ঢাকা -মাওয়া মহাসড়কের প্রায় প্রতিটি পরিবহন কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা দেয়। ভারি বর্ষন আর প্রবল ঝড়কে ওপেক্ষা না করে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেই ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ীর অপেক্ষায় শিশু -মহিলা-বৃদ্ধসহ অসংখ্য যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন।এ সময় পরিবহন সঙ্কটের সুযোগে মাওয়া থেকে গুলিস্তান ও মাওয়া থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সিটিং সার্ভিস কাউন্টারভিত্তিক পরিবহনগুলো ৭০টাকার স্থলে ১৫০টাকা এবং লোকাল পরিবহনগুলো ১০০ টাকা এবং ভেতরে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ১শ’ টাকা ভাড়া আদায় করে চলেছে।পাশাপাশি যাত্রীবাহী বাসের ভেতরে দাঁড়িয়ে ও ছাদে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে বেশকিছু পরিবহন।এতে করে সড়ক ও নৌপথে চরম দুর্ভোগে পড়েন কর্মস্থলে ফেরা এসব যাত্রী।