শুক্র-শনি সরকারি ছুটির দিন। আর এই ছুটির দিন পর্যটকদের নৌ-ভ্রমণে মুখরিত হয়ে উঠে পাবনার সুজানগরের ঐতিহাসিক গাজনার বিল। প্রতি বছর বর্ষার মৌসুম এলেই গাজনার বিল নতুন পানিতে থই থই করে। আর এ পানি থাকে পৌষ মাস পর্যন্ত। বর্ষার শুরু থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত দীর্ঘ এ সময় শত শত সবুজ শ্যামল গ্রাম বেষ্টিত বিশাল বিস্তৃত ওই গাজনার বিল সত্যই অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়। সেকারণে এ সময় দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ পর্যটক ছুটে আসেন গাজনার বিলে নৌ-ভ্রমণ করতে। বিশেষ করে শুক্র-শনি সরকারি ছুটির দিনে পর্যটকদের নৌ-ভ্রমণে সত্যই গাজনার বিল মুখরিত হয়ে উঠে। পর্যটকদের নৌ-ভ্রমণের জন্য বিলের খয়রান ব্রিজ, চরবোয়ালিয়া এবং বোনকোলা ব্রিজ পয়েন্টে বাণিজ্যিকভাবে রাখা হয়েছে ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা ও ডেঙি নৌকা। তাছাড়া পর্যটকদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে মাঝে-মধ্যে বিলের খয়রান ব্রিজ পয়েন্টে রাখা হয় বিশাল বাইচ’র নৌকা। পর্যটকরা এসব বাইচ’র নৌকায়ও বিল ভ্রমণ করে থাকেন। তবে বাইচ’র নৌকায় সাধারণত স্থানীয় পর্যটকরা ভ্রমণ করেন। বিলপাড়ের খয়রান গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিদিন কমবেশি পর্যটককে গাজনার বিলে নৌ-ভ্রমণ করতে দেখা যায়। তবে শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিন প্রচুর পর্যটক পরিবারপরিজন নিয়ে নেচে-গেয়ে গাজনার বিলে নৌ-ভ্রমণ করেন। পর্যটকরা বিকেল থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত বিলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ঘুরে নৌ-ভ্রমণ করেন। অনেক পর্যটক আবার বিলে নৌ-ভ্রমণের পাশাপাশি বনভোজনও করে থাকেন। বিলে নৌ-ভ্রমণে আসা পর্যটক দম্পতি রাসেল ও কল্পনা খাতুন জানান, ঐতিহাসিক এই বিলটি ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিলে সারা বছর পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করাসহ বিলের চারিদিকে পরিকল্পিত পিকনিক স্পট গড়ে তোলা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিৎ দেবনাথ বলেন গাজনার বিল সত্যই পর্যটকদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করার মতো একটি বিল। ভবিষ্যতে বিলটি যাতে প্রকৃত পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয় সে উদ্যোগ নেওয়া হবে।