সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ব্রীজ সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা একটি ৬তলা ভবনের আংশিক, জয়া এপারেলস, স্ক্যান সিমেন্ট, ডেল্টা ডকইয়ার্ড, সোনালী পেপার মিলস, রহমান কেমিক্যাল সহ অর্ধশত কাঁচা পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া নদী ভরাট করায় অ্যাসকোয়ার গার্মেন্টসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও জয়া এপারেলস নামের গার্মেন্টসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল রোববার বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে শীতলক্ষ্যায় তৃতীয় দফায় তৃতীয় দিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিআইডব্লিউটিয়ের নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামালের তত্বাবধানে উচ্ছেদ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক মোঃ শহিদুল্লাহ, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজসহ বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল জানান, অনেকেই গুলশান বনানীতে থাকেন অথচ নদীর তীরে জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করে নাম দেন নদী বিলাস। শীতলক্ষ্যা মেঘনা ধলেশ্বরীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি শীত মৌসুমের পূর্বে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরে নদীর তীর রক্ষায় সীমানা পিলার, ওয়াকওয়ে বনায়নের মাধ্যমে নদীর তীরে বসন্তের আবহাওয়া ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদীর তীর দখল ও ভরাটকারীরা কখনোই মানতে চান না। তারা বলেন ভূমি অফিস থেকে তাদেরকে জমি মাপ ঝোপ করে বুঝিয়ে দিয়া হয়েছে। এ কারণে অনেক সময় উচ্ছেদ অভিযানে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দেয়। তবে দখলদাররা যতই বলুক না কেন নদী দখলের বিষয়টি দৃশ্যমান। নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে।