ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে কেন্দ্র ও জম্মু-কাশ্মীর সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ রদ বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যে মামলাগুলো করা হয়েছিল, সেগুলোকে পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। আগামী অক্টোবরে মামলাগুলোর শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। আজ বুধবার এ নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন এস এ বোবদে ও এস আবদুল নাজির।চলতি মাসের শুরুতে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল মোদি সরকার। ওই সময় রাজ্যকে ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার সিদ্ধান্তও জানানো হয়। এসব বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল।অন্যদিকে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআইএম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে জম্মু-কাশ্মীর যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি জম্মু-কাশ্মীরে আটক থাকা দলীয় নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ তারিগামির মুক্তির জন্য আবেদন করেন।আজ এ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেন, জম্মু-কাশ্মীরে আটক নেতা মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গে দেখা করার জন্য ইয়েচুরিকে অনুমতি দেওয়া হোক। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, ‘দেশের কোনো নাগরিক যদি দেশের কোনো প্রান্তে যেতে চান, তাঁকে সে সুযোগ দিতে হবে।’এর আগে গত ২৪ আগস্ট কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে রাহুল গান্ধীসহ ভারতের ১০ রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাশ্মীর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাঁদের ভেতরে যেতে দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দর থেকেই তাঁদের দিল্লিতে ফেরত পাঠানো হয়।ওই সময় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও ছিলেন। সেইসঙ্গে আরো ছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, কে সি বেণুগোপাল, আনন্দ শর্মা, তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী, সিপিআইয়ের ডি রাজা, ডিএমকের তিরুচি শিবা, আর জে ডির মনোজ ঝাঁ, এনসিপির মজিদ মেনন, জেডিএসের কুপেন্দ্র রেড্ডি এবং লোকতান্ত্রিক জনতা দলের শরদ যাদব।